সন্ত্রম নিজে না রাখলে, কেউ কি দেয়। ঠাকুরবি ? কেউ না । আমার ত এমন স্বামী, তবুও কখনও তঁাকে আমি এ-কথা ভাবার অবকাশ দিইনি-তিনিই প্ৰভু, আর আমি স্ত্রী বলে তঁার বঁাদী। আমার নারীদেহেও ভগবান বাস করেন, এ-কথা আমি নিজেও ভুলি নে—তাকেও ভুলতে দিই নে ! বিমলা চুপ করিয়া শুনিয়া একটা নিশ্বাস ফেলিল, কিন্তু তাহাতে লজ্জা বা অনুশোচনা কিছুই প্ৰকাশ পাইল না। কহিল, জানি নে বেী, আত্মসন্ত্ৰম আদায় করা কি ; কিন্তু তঁার পায়ে আত্মবিসর্জন দেওয়াটা বুঝি। ঐ যে উনি এলেন; একটু ব’সো ভাই ; আমি শীগগির হুকুম নিয়ে আসি, বলিয়া হঠাৎ একটু মুখ টিপিয়া হাসিয়া দ্রুতপায়ে প্ৰস্থান করিল। ইন্দু এ হাসিটুকু দেখিতে পাইল। তার সর্বাঙ্গ রাগে রিরি করিয়া জ্বলিতে লাগিল । বায়স্কোপ হইতে ফিরিবার পথে হঠাৎ ইন্দু বলিয়া উঠিল, ঠাকুরবি, হুকুম না পেলে তা তুমি আসতে পারতে না ; বিমলা পথের দিকে চাহিয়া অন্যমনস্ক হইয়া কি জানি কি ভাবিতে श्व्णि, दलिब्ल, ना । তাই আমার মনে হয়। ঠাকুরবি, আমি যখন-তখন এসে তোমাকে ধরে নিয়ে যাই বলে, তোমার স্বামী হয়ত রাগ করেন । বিমলা মুখ ফিরাইয়া কহিল, তা হলে আমি নিজেই বা যাব কেন বৌ! বরং আমার ভয় হয়, তুমি এমন করে এসে বলে দাদা হয়ত মনে মনে আমার উপর বিরক্ত হন । ইন্দু সগৰ্বে কহিল, তোমার দাদার সে স্বভাব নয়। একে ত কখনো তিনি নিজের অধিকারের বাইরে পা দেন না, তা ছাড়া আমার কাজে রাগ করবেন, আমি ঠিক জানি, এ স্পৰ্দ্ধা তার স্বপ্নেও जयन न । বিমলা মিনিট-দুই স্থির থাকিয়া, গভীর একটা নিশ্বাস ফেলিয়া و
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬
অবয়ব