মাগো ! তার পর অচৈতন্য হইয়া ভূমিতলে পড়িয়া গেল। যজ্ঞদত্ত তাহা দেখিল, দেখিল তার সমস্ত মুখ রক্তে ভাসিতেছে, চোখের ভিতর রক্ত ঢুকিয়া সমস্ত ঝাপসা বোধ হইতেছে। সে উন্মত্তের মত বলিয়া উঠিল, আর কেন ? এই সময় পিছন হইতে কে ধরিয়া ফেলিল । ফিরিয়া দেখিল স্ত্রী ; কঁাদিয়া বলিল, তুমি ? স্কন্ধের উপর মাথা রাখিয়া সেও মুছিত হইয়া পড়িল । সুরমা যেমন করিয়া নীচে হইতে উপরে ছুটিয়া আসিল, নূতন বধু তাহাতে আশ্চর্য ও শঙ্কিত হইয়া নিঃশব্দে পিছনে আসিয়া দ্বারের বাহিরে দাড়াইয়া সব কথা শুনিল, সব কাণ্ড দেখিল। অনেকখানি সত্য তাহার মাথার ভিতরে সূর্যের আলোকের ন্যায় প্ৰতিভাত হইল, তাহারও বক্ষ-সম্পন্দন দ্রুত হইয়া আসিয়াছিল, চক্ষের বাহিরে। কুঙ্কটিকার সৃষ্টি হইতেছিল, কিন্তু সে আপনাকে সামলাইয়া লইয়া বিপদের সময় স্বামীকে ক্ৰোড়ে করিয়া বসিল । o ছয় দিন পরে ভাল করিয়া জ্ঞান হইলে, সুরমা জিজ্ঞাসা করিল, "দাদা কেমন আছেন ? দাসী কহিল, ভাল আছেন। আমি দেখে আসব। কিন্তু উঠিতে গিয়া আবার শুইয়া পড়িল । দাসী কহিল, তুমি বড় দুর্বল, তাতে জ্বর হয়েছে, উঠে না, ডাক্তার বারণ করেছে । সুরমা আশা করিলা যজ্ঞদাদা দেখিতে আসিবে, বৌ দেখিতে আসিবে । একদিন দুইদিন করিয়া ক্ৰমে এক সপ্তাহ অতীত হইয়া গেল, তবু उकङ् अनिब्ण मा, 6कठ् ८र्थोस्क७ ब्जहेछ मा । জ্বর সারিয়াছে, কিন্তু বড় দুর্বল। উঠিতে চেষ্টা করিলে হয়ত উঠিতে পারিত, কিন্তু বিষম অভিমানে তাহার শয্যাত্যাগ করিতে Woq
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২
অবয়ব