বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবৃত্তি হইল না। নিজের মনে ফুলিয়া ফুলিয়া কঁাদিত, চোখ মুছিয়া ভাবিত-তাহাদের আলো ও ছায়া কাহিনী । দীপ্ত আলো ও গাঢ় ছায়া লইয়া তাহারা খেলা আরম্ভ করিয়াছিল, এখন আলো নিভিয়া আসিতেছে। মধ্যাহের সূৰ্য পশ্চিমে বুকিয়াছে, গাঢ় ছায়া তাই অস্পষ্ট ও বিকৃত হইয়া প্ৰেতের মত কঙ্কালসার হইয়াছে। অজানা অন্ধকারের পানে সে ছায়া যেন মিশিয়া যাইবার জন্য ধীরে ধীরে সরিয়া যাইতেছে। কঁাদিয়া কঁাদিয়া সুরমা ঘুমাইয়া পড়িল । গায়ের উপর তপ্ত হস্ত রাখিয়া কে যেন ডাকিল, দিদি ৷ সুরমা উঠিয়া বলিল, একি বৌ ? চক্ষু তাহার রক্তবর্ণ, মুখ শুষ্ক, ওষ্ঠীদ্বয় যেন কালিমাখা -কেন বৌ কি হয়েচে তোমার ? কি হয়েচে আমার । তুমি আমাকে এ-বাড়িতে এনেছিলে, তাই বলতে এসেচি দিদি, ছুটি দাও আমাকে । আমি যাব কেন দিদি, কোথা যাবে ? নূতন বধূ সুরমার পায়ের উপর মাথা রাখিয়া লুটাইয়া পড়িল। সুরমা দেখিল তাহার দেহ অগ্নির মত উত্তপ্ত - একি ! এ যে বড় জ্বর হয়েঢ়ে । এমন সময় একজন দাসী চীৎকার করিয়া ছুটিয়া আসিল, দিদি, বেী কোথা গেল ? ওমা জ্বরের ঝোকে পালিয়ে এসেচেন ! আজি আট দিন বেহুশি হয়ে পড়েছিলেন । মা গো ! কি করে এলেন ? আট দিন জ্বল ? ডাক্তার দেখচে ? কেউ না দিদি, কেউ না, পরশুদিন সকালবেলাও বৌমা এক ঘণ্টা কলতলায় মাথা পেতে বসেছিলেন, এত মানা করলুম। কিছুতেই •• • { সন্ধ্যার পূর্বে সুরমা যজ্ঞদত্তের ঘরে গিয়া কঁাদিয়া পড়িল, দাদা, বৌ আর বঁাচে না । बँict ना ! कि श्ध्रप्5 ?