মৃদুকণ্ঠে বলিল, বেী, দাদা তোমাকে কি ভালই না বাসেন। কিন্তু তুমি বোধ করি - এতক্ষণে ইন্দুর মুখে হাসি ফুটিল। কহিল, তার কথা অস্বীকার করি। নে ; কিন্তু আমার সম্বন্ধে তোমার সন্দেহ হ’লো কিসে? তা জানি নে বৌ। কিন্তু মনে হয় যেন - কেন হয় জান ঠাকুরবি, তোমাদের মত পায়ে লুটিয়ে-পড়া ভালবাসা আমার নেই বলে। আর ঈশ্বর করুন, আমার নারী-মৰ্য্যাদাকে ডিঙ্গিয়ে যেন কোনদিন আমার ভালবাসা মাথা তুলে উঠতে না পারে। যে ভালবাসা আমার স্বাধীন সত্তাকে লঙ্ঘন করে যায়, সে ভালবাসাকে আমি আন্তরিক ঘৃণা কর্ণর। বিমলা গোপনে শিহরিয়া উঠিল । মিনিট-খানেক চুপ করিয়া থাকিয়া ইন্দু কহিল, কথা কও না যে ঠাকুরঝি ! কি ভাবিছ ? BDD DDDSSS SSMBB S DBBS S DDS DBBD BB TuBD ভালবাসুন ; কারণ, যতই কেন বল না বৌ, মেয়েমানুষের স্বামীর ভালবাসার চেয়ে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডও বড় নয়। মুহুর্তকাল মৌন থাকিয়া বিমলা পুনরায় কহিল, কি জানি, কি তোমার নারী মৰ্য্যাদা-আর কি তোমার স্বাধীন সত্তা ! আমি তো আমার সমস্তই তেঁার পায়ে ডুবিয়ে দিয়ে বেঁচেচি। সত্যি বলচি বেী, আমার ত এমনি দশা হয়েচে, নিজের ইচ্ছে বলেও যেন আর কিছু বাকি নেই। তঁর ইচ্ছেই ছি ছি, চুপ কর-চুপ করা বিমলা চমকিয়া চুপ করিল। ইন্দু ঘৃণাভরে বলিতে লাগিল, আমাদের দেশের মেয়েরা কি মাটির পুতুল ? প্ৰাণ নেই-আত্মা নেই-কিছু নেই!! আচ্ছা, জিজ্ঞাসা করি, এত করে কি পেয়েচ ? আমার চেয়ে বেশি ভালবাসা আদায় করতে পেরেচ কি ? ঠাকুরবি, ভালবাসা মাপাবার যে যন্ত্র নেই, নইলে মেপে দেখাতে পারতুম-যাক সে কথা-কিন্তু কেন জানো ? নিজেকে তোমাদের মত নীচু করিনি বলে-তোমাদের এই
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭
অবয়ব