কাঙ্গাল-বৃত্তি মাথায় তুলে নিইনি বলে। আমার ভারি দুঃখ হয়। ঠাকুরবি কেন তিনি এত শান্ত, এত নিরীহ । কিছুতেই একটা কথা বলেন নানইলে দেখিয়ে দিতুম, তিনি যাকে গ্ৰাহ করেন না, সেও মানুষ ; সেও অগ্ৰাহ্য করতে জানে। সেও আত্মমৰ্যাদা হারিয়ে ভালবাসা চায় না ! ও আবার কি ? মুখ ফিরিয়ে হাসচ যে ? বিমলা জোর করিয়া হাসি চাপিয়া বলিল, কই--না ! না কেন ? এখনো ত তোমার ঠোটে হাসি লেগে রয়েচে । বিমলা হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, লেগে রয়েচে তোমার কথা শুনে । ওগো বেী, অনেক পেয়েচ বলেই কথা বেরুচ্চে । ইন্দু ক্রুদ্ধমুখে জিজ্ঞাসা করিল, না পেলে ? বেরািত না । ভুল।--নিছক ভুল। ঠাকুরুঝি, সকলেই তোমার মত নয়-সকলেই ভিক্ষে চেয়ে বেড়ায় না। আত্মগৌরব বোঝে, এমন নারী ও সংসারে 町臣山 এবার বিমলার মুখের হাসি ধীরে ধীরে মিলাইয়া গেল , বলিল, তা জানি । জানলে আর বলতে না । যাই হোক, এখন থেকে জেনো, যে ভিক্ষে চায় না, নিজের জোরে আদায় করে, এমন লোকও আছে । বিমলা ব্যথিত স্বরে বলিল, আচ্ছা, এই যে বাড়ী এসে পড়েচি } একবার নামবে না কি ? নাঃ-আমিও বাড়ী যাই । গাড়োয়ান, ঐ ও গলিতেদাদাকে আমার প্রণাম দিও বৌ! দেবো,-গাড়োয়ান, চালে
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮
অবয়ব