পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্পষ্ট কুয়াশা রূপ নিচ্ছে। আজকের মত কাজ শেষ। স্থানীয় মজুররা ঝুমুরিয়া, নিতাইপুর, মহিষালি প্রভৃতি কাছাকাছি গাঁয়ে তাদের কুঁড়ের উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েছে। কয়েকজন বিহারী মজুৱও গায়ের দিকে চলেছে। এরা গায়ের লোক নয়, ঘর-টান এদের নেই, কিন্তু বনের ধারে এখানে বিনা ভাড়ায় অস্থায়ী কুটির তৈরী করে দিতে চাইলেও তারা gKBD BDB BDBBDS D BSBBBDBD DDD S DBD DBD DBDD বাস করতে ভালবাসে, এক বাড়ীতে নয়তো এক ঘরে যতজন মিলে একসঙ্গে থাকা সম্ভব। মেয়েপুরুষ সাঁওতাল মজুররাই শুধু এখানে অস্থায়ী ঘর-সংসার পেতে বসেছে। ডালপালা লতাপাতা দিয়ে নিজেরাই তারা তিন চার হাত উঁচু ছোট ছোট কুঁড়ে বেঁধে নিয়েছে, ঠিক যেন বয়স্ক শিশুদের খেলার ঘর। ফাকায় মাটির হাড়িতে ভাত রাধে, বঁাশের চোঙায় তেল রাখে, পুরু কাগজের মত ঘন মোটা কাপড় কোমরে জড়ায় আর পিঠে ছেলে বাধার বা গায়ে দেবার চাদর করে, কাঠের চিরুণীতে চুল আঁচড়ায়, খোপায় ফুল গোজে আর বাবরিতে লাল কাপড়ের ফালি জড়ায়, শালপাতার মোটা বিড়ি বানিয়ে টানে, মেয়ে পুরুষে ভাত বা মহুয়ার মদ খায়। আর আগুন । জেলে মাদল বাজিয়ে নাচে গায়-সুস্থ সবল সুশ্ৰী কালো দেহ আর সরল স্বাধীন দৃঢ় মন নিয়ে হিংসাদ্বেষহীন নিৰ্ভয় নিশ্চিন্ত নিলোভ। শান্তিপূৰ্ণ জীবন কাটায়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে ব্যক্তিগত সম্পদের বোধ নেই, ভেদাভেদ বোঝে না। দলের প্রধান দলেরই দান, দলের ইচ্ছায় সে প্ৰধান, অনিচ্ছায় নয়। মেয়ের স্বাধীন, সমান, সম্মানীয়-সভ্য জগতের স্বাধিকারচু্যতা সমস্ত নারী যখন পরাধীন পণ্যা মাত্র। চেরা তক্তার মেঝে ও দেয়ালের উপর খড়ের পাতলা ছাউনী দেওয়া চারকোণ ঘরটির সামনে ক্যাম্প-চেয়ারে বসে হেরম্ব চক্ৰবৰ্ত্তী সরু একটা চুরুট টানতে টানতে চোখ কুঁচকে বনের দিকে চেয়েছিল। তার নিজের SSY