পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে মেয়েটির সন্তান হবে, প্ৰথম সন্তান। মেয়েটির বয়স উনিশ কুড়ির কম নয়। সাঁওতালদের সঙ্গে হেরন্থের ঘনিষ্ঠতা বহুদিনের । কম -বয়সে কোন সাঁওতাল মেয়েকে সে মা হতে দ্যাখেনি। সারা জীবনে ছ’সাতটির বেশী ছেলে-মেয়ে হয়েছে এমন সাঁওতাল রমণীও দেখেছে কদাচিৎ। পূর্ণগর্ভা মেয়েটির জলতোলা দেখতে দেখতে এ-সত্যটা হেরম্বের মনে পড়ে যায় যে সাঁওতাল মেয়েদের দুটি সন্তানের মধ্যে কম করেও সাধারণতঃ দু-তিন বছরের ব্যবধান থাকে। মেয়েটিকে সে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকে । খাটি সাঁওতালী डबांध खिgखन कgद्ध, ‘6डाब्र १तूझ cक ? “নানকু।” নানকু দলের প্রধান কানাইয়ার ছেলে ! বয়স তার চব্বিশের কাছে। তখন হেরন্থের মনে পড়ে যায় নানকু ও এই মেয়েটির বিবাহোৎসবের কথা। মধুজোলের বনে শাল কাটাতে সে তখন সাঁওতালী গাঁ গড়পায় আস্তানা করেছিল। মধুজোলের বনের ছোট একটা অংশ পেয়েছিল। কিন্তু সেই অংশটুকুও ঝুমুরিয়ার এই বনের প্রায় সাতগুণ বড় ছিল এবং ঠিক এবারের মতই সময়ের টানাটানিতে বিব্রত হয়ে তাকে কাজ চালাতে হয়েছিল উদ্ধশ্বাসে । গড়পার স্থায়ী বাসিন্দা হেমন্ত সাওতালের এই মেয়েটির সঙ্গে তখন যাযাবর দলের নানকুর ভালবাসা হয়। কেবল মেয়ের বাপ নয়, গড়পা গায়ের সাঁওতাল সমাজ এ বিয়েতে আপত্তি করেছিল। কিন্তু এমনি এক মৃদু শীতল সন্ধ্যায় নানকুর সঙ্গে মেয়েটি চলে আসে বনের প্রান্তে এ দলের শিবিরে ৷ তীর, বর্শা বা টাঙ্গির আঘাতে ঘায়েল হবার জন্য প্ৰস্তুত হয়ে নানকু গড়পার শেষ' মাটির ঘরখানার পাঁচশ হাত তফাতে জামগাছের নীচে শিয়ালকাটার কোপে তার জন্য অপেক্ষা করছিল । বিয়েটা হয়েছিল যথারীতি এবং যথেষ্ট উৎসবের সঙ্গে কিন্তু দু’পক্ষের Nà)) {