পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবদুল হাই-এর বয়স চল্লিশের ওপর, গোলগাল চব্বি-লিঙ্ক লাবণ্যময় চেহারা, হাসিখুসীি অমায়িক ব্যবহার। অত্যন্ত চালাক ও প্ৰতিহিংসাপরায়ণ। গ্ৰাম্য রাজনীতিতে, মামলা মোকদ্দমায় এ অঞ্চলে তার জুড়ি নেই। হাসিমুখে কথা বলতে বলতেই একবার হাই তুলে এক মুহুর্তের জন্য সে আড়চোখে খাপছাড়া দৃষ্টিতে তাকাল হেরম্বের দিকে, মনে মনে বলল, হুই, ফ্যাকড়া বাধাতে এসেছ আমাদের মধ্যে। তোমাকে লোক যোগান দিতে জালাল মিঞার সাথে লড়াই বাধাব আমি ! মুখে বলল, “হাঁ, ই, চেষ্টা করব বৈকি বাবু। তবে কি জানেন, বীরেশ্বরকে সবাই ডরায়। জালাল মিঞার সাঞ্চে বড় ভাব। ফের দেখুন, ধান কাটাও সুরু হয়ে গেছে-এই যা মুস্কিল আর কি।” ঝুমুরিয়া আর তার আশপাশের পাঁচনিখে, সাতাইখুনী, গদাধরপুর এসব গ্রাম থেকে যে কজন লোক পেল হেরম্ব তাদের সংখ্যা আঙ্গুলো BDBLB BDD SS gDB BB DBDBDDBDB BBDDBD BD BDS BBD DDDS DD পাঁচটি গ্রাম দূরে থাক, শুধু ঝুমুরিয়ার সিকি ভাগ লোককেও বুঝিয়ে শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে হুকুম মানাবার ক্ষমতাও তার ছিল। কিনা সন্দেহ। সময়টাই গেল হেরম্বের বিপক্ষে। ফসল কাটায় শুধু চাষীর নয় DBLSSSBYYYYSDDYS DBDDY BBDBBBB BDD SDDS DBLDLL S • অন্য সময় হলে এক নিতাই চক্ৰবৰ্ত্তী একদিনে বিশ ত্ৰিশজন লোক জুটিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারত বন কাটতে, এখন সে তিনজন প্ৰায় অকেজো বুড়োকে পাঠিয়ে হেরম্বের মান ও নিজের কথা বজায় রাখল। বনটা বড় হলে বেশীদিন মোটা মজুরিতে কাজ করার সম্ভাবনা থাকলেও হয়তো অনেকে লোভে পড়ে কারে হুমকি না মেনে মাঠের কাজ ফেলে চলে যেত। কয়েকটা দিনের ডবল মজুরির লোভে যাদের সঙ্গে চিরদিনের স্থায়ী, সম্বন্ধ তাদের চটানো অনেকেরই ভাল মনে হল à RN) (W* )ー。