পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকনাথের প্রকাণ্ড তিনতলা বাড়ীতে লোক অনেক, আত্মীয় কুটুম্ব আশ্ৰিত আশ্ৰিত চৰকার ঠাকুর দাই দাসী মালী ঝাড়ুদার দারোয়ান ইত্যািদ নানা জাতের হরেকরকম মানুষ। মানুষ পুষে লোকনাথ সুখ পায়, তার কাছে সংসারে যত পোষ্য যত সমারোহ কৰ্ত্ত হবার বাহাদুরও ততখানি । বাজে লোকের ভিড়ে সংসারের আসল মানুষদের কোন অসুবিধা হয় না। এক বাড়ীতে বাস করলেও তাদের মধ্যে ব্যবধান অনেক। আসলের ভিড়ের সান্নিধ্য শুধু ততটুকু মঞ্জুর করে, তাদের জীবনযাত্রার কলরব ঠিক ততটুকু কানে আসতে দেয়, যা বরদাস্ত করতে কষ্ট নেই, গর্ব আছে। বাড়ীর যে পরিমাণ স্থান এরা পেয়েছে এদের দাবীর জোরে তা এদের প্রয়োজনের চেয়ে ঢের বেশী। এত বড় বাউীতেও তাই অন্যদের স্থানের অকুলান হয়, বাস করতে হয় একটু ঘেষা ঘোষি কোনঠাসা হয়ে । অবশ্য তাও কি কম ভাগ্য ? নানা গণ্ডীতে, নানা প্রক্রিয়ায় বিচিত্র শব্দ তুলে এ বাড়ীর জীবনধারা বয়ে যায। ভোর চারটে থেকে মানুষের ঘুমাই ভাঙ্গে বেলা দশটা, এগারটা KBDS B DB BDBYLLLL DD DY BBSDDD BDB S D LY কোন কাজ নেই তারা আরম্ভ করে সময় কাটাবার চেষ্টা, শুয়ে বসে হাই তুলে আডা দিয়ে গল্প করে তাস খেলে রেডিও শুনে। সাধারণ কথার একটানা গুঞ্জন ছাপিয়ে কাণে আসে ডাকাডাকি, ধমকানি, কলহ, ছোট ছেলের কান্না, ঠাকুর ঘরে আরতির শঙ্খ ঘণ্টা প্ৰভৃতি শব্দ। উপরের স্তরেব মেযে পুরুষদের জীবন সব সময়েই শ্লথ মন্থর, সকালের দিকে আরও ঝিমিয়ে থাকে। পুরুষেরা। তবু লোকনাথের বিভিন্ন আপিসে মোটা বেতনে হাল্কা কাজের চাকরী করতে যায়, মেয়েদের কাজের অভাবটাই সাংঘাতিক। সকলের চেয়ে নিশ্চল জবুথবু ও শব্দহীন লোকনাথে।ব তিরান কবই বছরের বুড়ী भ, ५८ ऊनाः জীবনের চরম প্ৰতীকের মত । S à-( ܘܙܵܐ )