পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দু’ক্রোশ পথ, গরুর গাড়ীতে যেতে হয়। পৌছুতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। গাড়ী চলতে সুরু করলে রম্ভার মনে হল গাড়োয়ান তার চেনা।

  • दूभूद्भिश् चिद्र वो न ?? ‘নাহঁক। মোর ঘর পাচনিখে। তুমাকে চিনি তালেও মেয়্যা ।” দিবাবু গাড়োয়ানের কাছে ঝুমুরিয়ার খবর পাওয়া গেল। অন্য সব কৃষ্ণেন্দুর কাছে শোনা পুরাণে খবর, নতুন খবর শুধু এই যে ঝুমুরিয়ায় এখন কোন গোলমাল নেই। হাঙ্গামার দিন পুলিশ কয়েক জনকে গ্ৰেপ্তার করেছিল, দু’দিন পরে আরও তিনজনকে ধরে নিয়ে গেছে। না, রম্ভার ভাই তারা নয়, রম্ভার ভায়েরা তিনজনেই সুস্থ শরীরে কাজকৰ্ম্ম করছে। গা এখন শান্ত, সকলে শিষ্ট ভালমানুষ

झgश ख्ाigछ । শুনে রামপাল অনেকটা নিশ্চিন্ত হল। কিন্তু পুরোপুরি খুসী হতে পারল না । মনে তার কি যেন একটা প্যাচ আছে, মানুষের এই নিক্রিয় ভালোমানুষী চিরদিন তার মধ্যে অসমর্থন জাগিয়ে তোলে, মৃদু অসন্তোষ সৃষ্টি করে। কেবলি মনে হয়, এরকম হওয়া যেন উচিত ছিল না । নিজে সে সবরকম হাঙ্গামা এড়িয়ে চলতে ভালবাসে কিন্তু অন্যের বীৰ্য্যহীন সহনশীলতা তার সয় না। তার দিক থেকে ভালই হয়েছে যে ঝুমুরিয়া চুপ করে গেছে, রম্ভাকে ক’দিন বাপের বাড়ী থাকতে দেওয়া চলবে, কাল পরশু টেনে হিচড়ে তাকে কলকাতা নিয়ে যাবার দরকার তবে না, কিন্তু রম্ভার ভাইগুলি, বীরেশ্বরের যোয়ান মর্দ ছেলেগুলি ? ঝুমুরিয়ার পুরুষগুলি ? ছিা! নতুন রাস্তা ঝুমুরিয়ার কাছাকাছি ষ্টেশনের এই পথকে অতিক্রম করে ঝুমুরিয়ার গা ঘেষে গেছে। মোড়ের কাছাকাছি নতুন রাস্তার কাজ এখনো কিছু কিছু চলছে। মোড়ে দাড়ালে দেখা যায়, রাস্তা কতদূর এগিয়েছে। প্ৰায় সিকি মাইল দূরে বঁাকের কাছে দু’পাশে সারি - সারি SSV