পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি যে খাপছাড়া মনের গতি এসব পাগলাটে ছেলের ৷ মেরে রক্তপাত করে দেওয়ার পর দেখা হতে যে ভক্তি-গদগদ চিত্তে পায়ে হত দিয়ে প্ৰণাম করে বসেছিল, সামান্য একটু শিক্ষা দেবার চেষ্টা করায় আজি সে অভিমানে আত্মহারা হয়ে গেছে । কিন্তু অভিমান যদি করে থাকে, অভিমানের কথাই কিছু বলুক, অনুযোগ দিক। কৃষ্ণেন্দু ধৈৰ্য্য হারিয়ে ফেললা । ‘টাকা কোথায় পেলি ?” ‘চুরি করেছি।” ক্রুদ্ধ বিস্ময়ে কৃষ্ণেন্দুর মুখে কথা সরল না । “পরের ষ্টেশনে পুলিশ ডাকবেন না ?” এ তো অভিমান জানানো নয়, রীতিমত গায়ের বাল বাড়া । নরেশ যে তার মুখের ওপর এভাবে কথা বলতে পারে কৃষ্ণেন্দুর দুঃস্বপ্নেও তা DBDDB BB BBDBD D DD BBDBD SS S BBDB BDDBD DDL BBDLD SS বনে রইল। থেমে থেমে মন্থর গতিতে প্যাসেঞ্জয় গাড়ী চলেছে। লোকাল প্যাসেঞ্জাররা নেমে গিয়ে গিয়ে একটু যায়গা হয়েছিল। গাড়ীতে, গুটিমুটি হয়ে কোনরকমে শোয়া চলে। শোয়ার আগে কৃষ্ণেন্দু হঠাৎ আশ্চৰ্য্যরকম মোলায়েম গলায় বলল, “কাজটা একটু অন্যায় হয়ে গেছে নরেশ । অত ভেবে দেখি নি ।” নরেশের কাছে এইভাবে একরকম ক্ষমা চেয়ে কৃষ্ণেন্দু তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে চোখ বুজল। ঘণ্টা দুই পরে একবার ঘুম ভেঙ্গে স্থাখে, নৱেশ ওপাশের বেঞ্চে গিয়ে শুয়েছে। কৃষ্ণেন্দুর মনে হয়, ছেলেটা তাকে জন্মের মত ত্যাগ করেছে, এজীবনে কখনো সে আর তার মন পাবে না । সে গভীর বিষাদ অনুভব করে, সেই সঙ্গে অপরাধ করার একটা কষ্টকর অনুভূতি। ভগবানের মত ভক্তকে কষ্ট দেবার স্বভাবটি সে কেমন চমৎকার আয়ত্ত করেছে। কত অন্যায়ের পাশ কাটিয়ে চলে, তাকে যে RNR t (wfa)-3C