পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানে না তার ক্ৰটী বিচূতি সংশোধনের চেষ্টা কখনো করে না, শুধু যে অনুগত তার ভাল করার উগ্ৰ চেষ্টায় চটকে চটকে সম্পর্কটা তিতে করে দেয়। কত সে সাবধানী আর হিসেবী ! যেখানে অধিকার আছে জানে, যেখানে ধরে মারলেও প্ৰতিবাদ আসবে না জানে, সেইখানে দেখায় বাহাদুরী। শুধু কথা বলে যদি কাজ হয় তাতে তার মন ওঠে না, জমকালে প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয় । সকালে দেখা গেল, কৃষ্ণেন্দুর আশঙ্কাটাই ঠিক, ক্ষমা চেয়ে নরেশের মন ভেজানো যায় নি। কাছে থেকেও সে যেন এক যোজন দুরে সরে গিয়েছে। ঝাঁঝালো কথা সে আর বলল না, অবিশ্বাস্য গাম্ভীৰ্য্যের সঙ্গে সমালোচকের দৃষ্টিতে কৃষ্ণেন্দুকে থেকে থেকে নিরীক্ষণও করল না। কথাবাৰ্ত্তা চালচলন তার প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এল। তবু বেশ বোঝা গোল কৃষ্ণেন্দুর বিরুদ্ধে মন তার ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে তার অতিরিক্ত ভদ্র ও সংযত ব্যবহারে পদে পদে তার প্রমাণ পাওয়া যেতে লাগিল । কৃষ্ণেন্দুর একটি হাসির কথায় হীরেন হেসে আকুল হয়ে গেল, নিরেশের মুখের একটি রেখাও বাকল না। তখন আর কোন ভরসাই রইল না ষে কৃষ্ণেন্দুকে সে আর কোনদিন ভক্তি করবে। সারাটা দিন সময় আছে ভেবে শশাঙ্ক কৃষ্ণেন্দুদের অভ্যর্থনার কোন আয়োজনই করে নি। আয়োজন আর কি, দাড়িটা কামিয়ে ফস BEEB BDBDB KLD DDDB gBD DBDD DDD S DEDBS BBD S S সদরটা একটু সাফ করিয়ে রাখত। অতিথির আদর যত্নের অন্য সব আয়োজন করবার তার ক্ষমতা কই, সে অক্ষম, তার উপার্জন নেই। হীরেনর কেউ দু’চার দিনের জন্য দেশে এলেও বাড়ীতে পা দিয়েই খরচপত্রের , কয়েকটা টাকা শশাঙ্কের হাতে দেয়। শশাঙ্ক তাই দিয়ে, তাদের RRVo