পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-এতে দলাদলির কোন কথাই নেই । আশেপাশের গা থেকেও লোক VENÄR I CVțaf S8 SF ” “আমাদের একটু অসুবিধা আছে।” “কিসের অসুবিধা ?”

  • QIA:|-QAfC1. NTöTM Sð STA !'

কৃষ্ণেন্দু অসহিষ্ণু হয়ে বলল, “মতবাদ ? এর মধ্যে আবার মতবাদের কথা আসে কোখোঁকে ? একটা লোক যাচ্ছেতাই অত্যাচার করছে, ধরে বেঁধে সকলকে দিয়ে মজুরের কাজ করাচ্ছে, জমি কেড়ে নিয়ে রাস্তা বানাচ্ছে, মাটি তুলে নিচ্ছে, এসবের যাতে প্ৰতিকার হয় আমরা সে চেষ্টা করব । তাতে মতবাদের কি আছে ?” “আমরা বিশ্বাস করি, গ্রামের উন্নতির জন্য ভাল রাস্তাঘাটের দরকার আছে। রাস্তাটি তৈরী হলে আমাদেরই উপকার হবে।” কৃষ্ণেন্দু কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর গভীর গলায় বলল, ‘রাস্তা তৈরী করতে আমরা বাধা দেব না। আমরা অত্যাচারের প্ৰতিবাদ করব ।” সহদেব রোগ ছিপছিপে ভারি সুদৰ্শন ছেলে। মুখখানা দেখলেই ভাল বলতে ইচ্ছা করে। সে বলল, “ও একই কথা । রাস্তা তৈরীতে • বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলেই হেরম্ববাবুকে একটু আধটু অত্যাচার করতে হয়েছে। আর বিনা মজুরিতে তিনি তো কাউকে খাটাচ্ছেন না, প্ৰত্যেককে মজুরি দিচ্ছেন। অবশ্য যারা গোলমাল করে তাদের বেলা-” অনাথ বলল, “আপনাকে সত্যি কথা বলি কৃষ্ণে দুবাবু, হেরম্ব চক্ৰবৰ্ত্তকে আমরাও পছন্দ করি না। তবে এক্ষেত্রে আমাদের পলিসি হচ্ছে, চুপ করে থাকা । রাস্তাটা হচ্ছে, হয়ে যাক। অন্য ব্যাপারে হলে হেরম্ববাবুর অত্যাচার আমরাও সহ করতাম না, অনেক আগে আমরাই একটা বিহিত করতাম। আমরা রাস্ত চাই। বর্ষাকালে Svor