পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরেন একটু হেসে বলল, “আপনার বুঝি সন্দেহ হচ্ছে চাকরি করে। দিতে পারব কি না ?” “ওমা, আপনি চাকরি করে দিতে পারবেন। কিনা তাতে সন্দেহ ।” দিগম্বরীও এবার একটু হাসল। হীরেন বলল, “চাকরী খালি না থাকে আমার আপিসে চাকরি তৈরী করে দেব । আমাদের বাড়ীর কাছাকাছি আপনাদের জন্য একটা বাড়ী ঠিক করে রাখব’খন। আচ্ছা, আমাদের বাড়ীতেও তো থাকতে পারেন গিয়ে ? আমার স্ত্রী তাহলে সব সময় আপনার সঙ্গ পাবেন ?” “আপনার স্ত্রীর কি কোন অসুখ ?” ‘মনের অসুখ ।” “७, दूरदछि ।” তাদের উপকার করতে হীরেণের আগ্রহের কারণটা এতক্ষণে যেন, দিগম্বরী ধরতে পেরেছে মনে হল। শশাঙ্ককে চাকরি দিয়ে তাকে হীরেন বিনা মাইনেতে আরেকটা চাকরী করিয়ে নেবে। কিন্তু হীরেণের স্ত্রীর কোন অসুখের কথা তো কৃষ্ণেন্দু বলে নি ? একবার জিজ্ঞেস করতে হবে । হীরেণ গম্ভীরমুখে ভাবছিল, নিজের মনে মাথা নেড়ে সে বলল,- “না, আমাদের বাড়ীতে থাকাটা ঠিক হবে না। একটা ভাড়াটে বাড়ীই ঠিক করে রাখব। আপনাদের জন্যে ।” দিগম্বরীকে ধাধায় ফেলে হীরেণ চলে গেল। একটু ভয় ভয় করতে লাগিল দিগম্বরীর । হীরেণের পাতলা পাঞ্জাবী ঘামে ভিজে গিয়েছিল। অতি মৃদু, অতি অদ্ভুত একটা সুগন্ধ দিগম্বরীর নাকেলাগছিল, আতর কি এসেন্স কে জানে ! বড়লোকের ছেলে, এমন সুপুরুষ, সে কেন এলোমেলো কথা বলে ? তবে চাকরিটা সে নিশ্চয়, RV O