পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজেদের পাড়া, কত সঙ্কেত আর চিহ্নই যে থাকে তাদের সেই সীমাবদ্ধ জগতের । মানুষ-সমান উচু পচা-খড়ের পুরাণে কুঁড়ের লেপামোছা তকতকে একটুখানি মাটির দাওয়া, সেখানে সোনারঙের চেরা šifta fè l এটা ঝুমুরিয়ার এক প্ৰান্ত। পূবদিকে পথটা খানিক সোজা গিয়ে বেঁকতে বেঁকতে ষ্টেশন থেকে ঝুমুরিয়ায় ঢুকবার পথে মিশেছে। কতগুলি আলো দেখে ও লোকের কলরব শুনে হীরেন এগিয়ে গেল । চরণ সা’র মদের দোকান দেখে সে গেল ভড়কে । টিনের চাল আর মাটির দেয়ালের একটা ঘর, দেয়ালের গায়ে একটা ফোকর দিয়ে মদ বিক্রী হচ্ছে। এদিকে একটা চালার নীচে ছেড়া চাটাইয়ে বসে ক্রেতার সেই মদ খাচ্ছে। লোক মন্দ হয়নি। গ্ৰীমের সন্ধ্যা হয় দেরীতে, সাড়ে আটটায় মদ বিক্রি বন্ধ । দিনের আলো শেষ হবার আগেই তাই অনেকে রাতের নেশার জোগাড়ে ছুটে আসে। কারো গায়ে সার্ট ফতুয়া, করো শুধু ধুতি বা লুঙ্গি, কারো শুধু গামছার মত ছোট আর ছেড়া কিছু কোমরে জড়ান। গেলাস, বাটি, টিনের মগে। কেউ মদ নিয়েছে, কারো পাত্রটি মাটির, কেউ বা তৃষ্ণ মেটাচ্ছে সোজা বোতল থেকে। বোতলওয়ালাদের সংখ্যা খুব কম। বোতলের জন্য পয়সা 95a 3 grCK5 28 দেয়ালের ফোকর ঘিরে লোক ছিল, হীরেনকে দেখে ভয়ে বিস্ময়ে পথ ছেড়ে দিল। ফোকরের ওপাশের লোকটির ঘামে ভেজা ভূড়িটি শুধু দেখা যায়। ‘বিলিতি আছে ?” ‘नi: । qक नश्वब्र अब्र 'नवन °icदन ।।” ‘কোনটা ভাল ?” “এক নম্বর ।” QVs