পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলে স্তব্ধ হয়ে যায়। শঙ্কায় ছোট হয়ে যায় চোখ । এতে অসম্ভব নয়, এই রাস্তা তৈরীর মধ্যেই তার অনেক প্রমাণ মিলেছে। ইয়াকুব বলে, “শুধু রাস্তার পেটে জমি ঘরদের যাবে। দু’পাশের ক্ষেত থেকে, ঘরের উঠোন থেকে মাটি তুলবে। মোর ক্ষেতের কি করেছে। দ্যাখোনি ? মাটি তুলিবি এক যাগ থেকে তোল, তা না, হেথায় হোথায় খাবলে তুলেছে। জমির দিকে চাইলে চোখে জল আসে।’ বলতে বলতে ইয়াকুব কেঁদে ফেলে হু হু করে। নাটু গোসাই আবার বলে, “আর ট্যাকসো তো আছে। তিনগুণ ট্যাকসো করবে। পুলিশ তাই এখন খাতির করছে। ওকে। এ সুযোগ কি ও ছাড়ে-এই সুযোগে সব বাগিয়ে নেবে।” এই আলোচনার মধ্যে এসে পড়ে দুটি ছেলে, বলে, “দোকান বন্ধ কর ঘনশ্যাম । আজি হরতাল । বটতলার মাঠে সভা হবে ওবেলা, সবাই যাবে। বঁচিতে যদি চাও, দল বেঁধে সভায় হাজির থেকে । বঁচিতে যদি চাও, উঠে পড়ে লাগো এবার, নইলে সবাই মরবে। তোমাদের বঁাচাতে যারা লড়ছিল, তারা নেই, এবার তোমাদের লড়তে হবে• • • • BBB BD DBBSDD DBLE0tSDD DLDBLDBB BB sDB DDD DS DD BBDDDD DDD DDLDBYSS BBBBBD iDLB BBLLLLL মোরা চুপচাপ রইলাম, তাতে একটু বিগড়ে আছে সবাই। এবার জবরদস্তি চলবে না, বারণ ভি করা হবে না। যার খুলী যাক।” হাফিজ আলি সায় দিয়ে বলে, “ঠিক বাত। হাঙ্গামা হবে তো উপায় কি ? আবদুল হাই-এর স্নিগ্ধ মোলায়েম মুখের দিকে চেয়ে কন্দেরের বুক একটু কেঁপে যায়। জালালুদ্দীনের বিরুদ্ধে সে সাক্ষী দেয় নি। সত্য, বীরেশ্বরের বিরুদ্ধে দিয়েছিল। কিন্তু লোকের মনে যেভাবে এক সাথে N90