পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার কেউ হয় না। এই তো কদিন আগে চেনা হল কলকাতা এসে । ८गं भं ख्°नि ° রম্ভ কলহ করে আর তাকে দেখে কৃষ্ণেন্দুর মনে পড়ে যায় ষ্টেশনে মমতার কলহের ভঙ্গি ও কথা । রম্ভা সত্যই কোমরে কাপড়, জড়িয়েছে। কলহ করার জন্য এখানে এসে নয়, আগে থেকেই BD SS DBBDS B KKDS DBD DBBD DDiBB DDB আসায় জড়ানো আঁচল খুলতে ভুলে গেছে। ছোট কথা নিয়ে, মিছে নালিশ ধরে, ছেলেমানুষী কলঙ্গ করছে রম্ভ। কিন্তু কৃষ্ণেন্দুর মনে হয় মমতার নিজেকে নিয়ে কলহ করার চেয়ে জোরালো আর জমজমাট হয়ে উঠেছে পরের জন্য রম্ভার ঝগড়া । রম্ভার বিরোধ তেজী, আন্তরিকতায় সহজ ও স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাস দ্বিধাসংশয়হীন অ-টলমল, জিদ সহিষ্ণু। এত অল্প সময়ের মধ্যে রম্ভার সম্বন্ধে এতবড় ব্যাপক একটা আন্দাজ করা কৃষ্ণেদুর পক্ষে অবশ্য মমতার জন্যই সম্ভব হয়েছে। মমতার বিরোধিতা, আন্তরিকতা, আত্মবিশ্বাস আর একগুয়েমির স্বরূপ তার জানা ছিল বলে। যা বলার ছিল প্ৰাণ ভরে বলে নিয়ে খানিক অপেক্ষা করে রম্ভাৰ বলে, “কথা কন না যে ? কীই বা বলবেন, বলার কিছু থাকলে তো ।” কৃষ্ণেন্দু তখন আত্মসমর্থন করে কৈফিয়ৎ জানায়, বলে, “আমার দোষ নেই রম্ভ, আমি কিছু করি নি। রামপালের কথা আমি কিছুই লিখিনি টেলিগ্রামে। এসব কিছু জানলে তো লিখবো ? আমি শুধু কবে আসিব জানিয়েছিলাম। দুঃখ করে না, আমি রামপালের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা কইব ।” ‘ক’ন না কথা । সে তো বসেই আছে। ওঘরে। ডাকব ?” রামপালকে না ডাকিয়ে কৃষ্ণেন্দু নিজেই বীরেশ্বরের ঘরে গেল।” (s