পাতা:দশকুমার.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X e e দশকুমার য়মান হইলাম। ক্ষণকাল যুদ্ধ দেখিয়া কিঞ্চিৎ হাস্য করিলাম। কুকুটস্বামী এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ আমাকে হাস্যের কারণ জিজ্ঞাসিলেন। আমি বলিলামমহাশয় । যাহারা এই কুকুট যুদ্ধের উদ্যোগ করিয়াছে তাহারা অতি অনভিজ্ঞ। তাহারা কুকুট জাতির ইতর বিশেষ জানেন । এই উভয় কুকুট এক জাতীয় নহে। ইহাদের বল বিক্রমও তুল্য নহে। অনভিজ্ঞ পুরুষেরা এই বিসদৃশ যুদ্ধ উপস্থিত করিয়াছে বলিয়া আমি হাস্য করিলাম। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের, কুকুট জাতির ইতর বিশেষ জ্ঞানে বিলক্ষণ বিজ্ঞতা ছিল । তিনি আমার কথা শুনিয়া বলিলেন ভাই ! তুমি চুপ করিয়া থাক, এ অজ্ঞান দিগকে জ্ঞান দানে প্রয়োজন নাই । এই বলিয়া একটা তালবীটিক আমাকে দিলেন, এবং নানা প্রকার মিষ্টালাপ করিতে লাগিলেন। কুকুট দ্বয় পরস্পর নখাঘাত চঞ্চুগ্রহার ও চীৎকার ধ্বনি করিয়া ঘোরতর সংগ্রাম করিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধের পর ঐ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের কুকুট জয়ী হইল । তিনি অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন । আমি অত্যন্ত বয়ঃকনিষ্ঠ হইলেও তিনি আমার সহিত সখ্য কবিলেন। যত্ন পূর্বক আমাকে আপন ভবনে লইয়া গেলেন । আমি সেদিন তাহারি ভবনে অবস্থান করিলাম। পর দিন যখন শ্রাবস্তী গমন করি, তিনি আমাকে বলিলেন সখে ! যদি কখন প্রয়োজন হয়, এই বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে স্মরণ করিও । এই বলিয়া অামাকে সগ্রেম আলিঙ্গন করিয়া বিদায় করিলেন । অামি শ্রাবস্তী নগরে উপস্থিত হইয়া বহিরুদ্যানে লতামণ্ডপে বিশ্রামার্থ শয়ন করিলাম । অতিশয় পথশ্রান্তি হইয়াছিল, ক্ষণ মধ্যেই নিদ্রিত হইয়া পড়িলাম। কিয়ৎক্ষণ পরে কলহংস-কোলাহল শ্রবণে জাগরিত হইয়া দেখিলাম এক যুবতী আমার নিকট আসিতেছে, চরণে সুপুরধ্বনি হইতেছে । তাহার হস্তে পরম সুন্দর পুরুষের এক চিত্ৰপট আছে। সে আমার সম্মুখে আসিয়া, একবার আমার দিকে, একবার ছবির দিকে, বারম্বার দৃষ্টি পাত করিতে লাগিল । আমি চিত্র নিরীক্ষণ করিয়| দেখিলাম অশনারি সদৃশ এক পুরুষ অঙ্কিত অাছে। মনে মনে ভাবিলাম এই নারী