পাতা:দশকুমার.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) e &) দশকুমার উপবেশন করাইল । আমাকে সম্বোধন করিয়া বলিল মহাশয় । ইনিই আমার প্রাণসম প্রিয়তম । রাজপুত্র ইহাকে হরণ করিয়া আমার প্রাণ হরণের উপক্রম করিয়াছেন । এই আমার জন্মের মত প্রিয়তমার সহিত সাক্ষাৎ হইল। এই বলিয়া সেই ব্যক্তি এক দীর্থ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিল। চন্দ্ৰসেন তাহাকে প্রাণ পরিত্যাগে কৃতনিশ্চয় দেখিয়া সজল নয়নে বলিল প্রিয়তম ! তুমি এই নগরের প্রধান বণিক অর্থদাসের সন্তান, তোমার নাম কোযদাস । আমার প্রতি তোমার সাতিশয় অতুরাগ থাকতেই শক্রর তোমাকে বেশদাস বলিয়া উপহাস করিয়া থ{-ক । তুমি যদি আমার নিমিত্ত প্রাণ পরিত্যাগ কর, আর, অামি জীবিত থাকি, তাহ হইলে বেশ্য জাতির, নিতান্ত নিষ্ঠ র বলিয়া কলঙ্ক জন্মিবেক। এক্ষণে আমি তোমাকে এক পরামর্শ বলি । যে স্থানে গমন করিলে ভীমধন্বার হস্ত হইতে মুক্ত হইতে পারা যায়, এমন কোন স্থানে আমাকে লইয়া চল । কোষদাস চন্দ্রসেনার এই কথা শুনিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করিল,মহাশয় অনেক দেশ পর্যটন করিয়াছেন, সৰ্ব্বাপেক্ষ কোন দেশ উত্তম, আমাকে বলিয়া দেউন । আমি ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলাম ভদ্র । এই বিশাল ধরামণ্ডলে কত স্থানে কত শত উত্তম গ্রাম ও নগর অাছে, সংখ্যা কর; যায় না । কিন্তু যদি আমি এই দেশেই তোমাদের সুখ সম্ভোগে বাস করিবার কোন উপায় করিয়া দিতে ন পারি, তখন তোমরা স্থানান্তর গমনের চেষ্টা করিও । আমি এই কথা বলিতেছি এমন সময় উৎসব সমাজে নুপুরধ্বনি হইয়া উঠিল। চন্দ্রসেন ব্যস্ত সমস্ত হইয়া বলিল ভর্তুদারিক কন্দুকবতী, ভগবতী বিন্ধ্যবাসিনীর আরাধনার্থ অসিয়া উপস্থিত হইলেন । কোন ব্যক্তিরই উৎসব সমাজ গমনের নিষেধ নাই । আপনারাও আসুন । ক ভূকবতীকে দেখিয়া নয়নদ্বয় চরিতার্থ করুন। এক্ষণে আমি তাহার পার্শ্ববৰ্ত্তিনী হই। এই বলিয়া চন্দ্রসেনা চলিয়া গেল । আমরাও দুজনে তথায় উপস্থিত হইলাম। তাণি সেই উৎসব সমাজে উপস্থিত হইয়া সেই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী