পাতা:দশকুমার.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্রগুপ্ত চরিত। 》e영 রাজকুমারী নয়নগোচর করিলাম। তাহকে দেখিয়াই আমার মন মোহিত হইল। চিত্ৰাপিতের ন্যায় অনিমিষ নয়নে তাহার রূপ লাবণ্য নিরীক্ষণ করিতে লাগিলাম। সেই বামলোচনা ভূমিষ্ঠ হইয়া ভগবতীকে বন্দনা করিয়া ক্রীড়া কন্দুক গ্রহণ করিলেন। চঞ্চল কোমল কর-পল্লব দ্বার একবার উৎক্ষেপণ একবার অৰক্ষেপণ, এইরূপে নানা নৈপুণ্য প্রদর্শন পুৰ্ব্বক কন্দুক ক্রীড়াকরিতে ক্লাগিলেন । তাহার হস্ত-লাঘব দর্শনে তাবৎ লোক চমৎকৃত হইয়া রহিল । রাজকন্যা বিলাস পুৰ্ব্বক সাভিলাষ নয়নে আমার প্রতি বারম্বার দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে বক্ষঃস্থলের বিগলিত বসন হস্তদ্বারা যথাস্থানে বিনিবেশিত করিতে লাগিলেন। আমি তৎকালে তাহার শরীরমাধুরী হস্তচাতুরী ও নয়ন ভঙ্গ দর্শনে একবারে মোহিত হইয়া রহিলাম। কন্দুকবর্তী ক্রমে ক্রমে বহুসংখ্যক কন্দুক লইয়া উৎক্ষেপণ আরম্ভ করিলেন। কন্দুক গুলি তাহার চতুদিকে অতিবেগে এরূপ দুলক্ষ্য রূপে পতিত ও উৎপতিত হইতে লাগিল, বোধ হইল, যেন রাজনন্দিনী পিঞ্জর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রহিলেন। কন্দুকবতীর, কচ্ছুক ক্রীড়ায় এইরূপ অসামান্য নৈপুণ্য দর্শনে তাবৎ লোক এককালে উচ্চৈঃস্বরে ধন্যবাদ করিয়া উঠিল । অনেক ক্ষণ এইরূপ ক্রীড়া করিয়া কন্দুকবতী পুনৰ্ব্বার বিন্ধ্যবাসিনীর বন্দনা করিলেন। পরে চন্দ্রসেনা প্রভৃতি সখীগণ সমভিব্যাহারে গৃহাভিমুখে প্রস্থান করিলেন। আমার মন অমুরক্ত অহুচরের ন্যায় তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিল। কন্দুকবতী নানা ছল করিয় বারম্বার মুখ ফিরাইয়া আমার প্রতি কটাক্ষ নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন । ক্রমে ক্রমে কুমারীপুরে প্রবেশ করিলেন। তখন আমি হতাশ হইয়া কোষদাসের সহিত তাহার অর্ণবাসে গমন করিলাম। সমস্ত দিন অতি কষ্টে অতিবাহিত্ত হইল । সায়ংকালে রাজকুমারীর প্রিয় সহচরী চন্দ্ৰসেন আসিয়া অপমাকে প্রণাম করিল । কোষদাসকে সপ্রণয় সম্ভাষণ করিয়া উপবেশন করিল । কোষদাস করুণ বচনে তাহাকে বলিল প্রিয়