পাতা:দশকুমার.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্রগুপ্ত চরিত । ১১৭ নামক বণিকৃপুত্রের সহিত র্তাহার বিবাহ হয়। বিবাহ-রাত্রে রত্নবর্তী, নবোঢ়া সমুচিত লজ্জ|-পরতন্ত্র হইয়া পতির প্রীতি সম্পাদনে অসমর্থ হন। তাহাতে অভদ্র বলভদ্র তাহাকে একবারে পরিত্যাগ করিয়া যায়। পতিব্রত রত্নবর্তী তদবধি পরিবার বর্গের অপ্রিয় হইয়া উঠিলেন। সকলে তাহার উপর অতিশয় বিরক্ত হওয়াতে, ক্রমে ক্রমে তাহার নিম্ববতী নাম হইল । রত্নবতী এইরূপে সকলের ঘৃণিত ও পতি বিয়োগে তাপিত হইয়া একদা বিজনে বসিয়া রোদন করিতেছেন, এমন সময় এক বৃদ্ধ তাপসী তাহার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন, আসিয়া তাহাকে রোদনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। রত্নবর্তী বলিলেন মাতঃ ? অামার রোদনের কারণ জিজ্ঞাসা করিতেছ কেন ? পতি আমাকে অতি সামান্য অপরাধে পরিত্যাগ করিয়া যান। সেই নিমিত্ত কেহই আমাকে দেখিতে পারেন না। আমি সেই দুঃখে রোদন করিতেছি । মনে মনে স্থির করিয়াছি যদি পুনৰ্ব্বার পতি লাভ হয়, জীবন ধারণ করিব। নতুবা, চিরদুঃখ-ভাজন জীবন পরিত্যাগ করিব । মাতঃ ! তোমাকে অামারপতি লাভের কোন সদুপায় করিয়া দিতে হইবে । এই বলিয়া রত্নবর্তী, তাপসীর পদতলে পতিত হইলেন । তাপসী বলিলেন বৎসে ! এত অস্থির হইও না । অস্তির হইলে কোন কৰ্ম্মই সিদ্ধহয় না। যদি তুমি মনে মনে কোন উপায় স্থির করিয়া থাক, বল । অামি অবিলম্বেই তাহা সম্পাদন করিব । সাধী রত্নবর্তী ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া বলিলেন মাতঃ ! অামাদের বাড়ীর পার্শ্বে নিধিপতি দত্তের বাড়ী। নিধিপতি দত্ত আভিজাত্য ও অতুল সম্পত্তি দ্বারা সৰ্ব্ব প্রধান হইয়াছেন । রাজা তাহাকে বিস্তর অনুগ্রহ করেন। দেশ বিদেশে তাহার নাম সম্রম হইয়াছে। কনকবতী নামে তাহার এক কন্যা আছে। কনকবর্তী আকার প্রকারে অবিকল অমারি মত। তাহার সহিত আমার অতিশয় প্রণয় আছে। আমরা দুজনে সৰ্ব্বদা একত্র থাকি। এক্ষণে তুমি অনুগ্রহ করিয়া একবার আমার পতির নিকটে যাও । কনক