পাতা:দশকুমার.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> b" দশকুমার বর্তীর মাত নিমন্ত্রণ করিয়াছেন বলিয়া, তাহাকে কনকবর্তীদের বাড়ীতে অনিয়ন কর । তৎকালে আমি তথায় থাকিব । কনকবর্তীকে স্থানান্তরে যাইতে কহিব । পতি আমাকে ভালরূপ চিনেন না, আমাকেই কনকবতী বোধ করিবেন। আমি কৌশল ক্রমে কনকবতী রূপে তাহার সহিত প্রণয় করিব। মাতঃ ! তিনি আমাকে কনকবতী মনে করিয়া যাহাতে দেশান্তরে লইয়া যান, তোমাকে তাহা করিতে হইবে । so অনন্তর তাপসী, রত্নবর্তীর বচনানুরূপ সমস্ত সম্পন্ন করিলেন বলভদ্র রত্নবর্তীকে একবার মাত্র দেখিয়া ছিলেন । এক্ষণে তাঁহাকে চিনিতে না পারিয়া, কনকবতী ভ্ৰমে তাহার প্রেমে পতিত হইলেন । এবং তাঁহাকে লইয়া গোপনে দেশান্তরে পলায়ন করিলেন । তাপসী, রত্নবর্তীর মাতা পিতার নিকট বলিলেন, তোমাদের জামাত আসিয়া রত্নবর্তীকে লইয়। গিয়াছেন । তিনি এখান হইতে ক্রোধ করিয়া গিয়াছিলেন, অনেক দিন আসেন নাই । সেই নিমিত্ত লজ্জ প্রযুক্ত তোমাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারেন নাই। অামাকে সংবাদ দিতে বলিয়া গিয়াছেন । রত্নবতীর পিতা মাত এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন । এ দিকে বলভদ্র পথিমধ্যে এক দাসী ক্রয় করিয়া, রত্নবর্তী সমভিব্যাহারে খেটকপুরে উপস্থিত হইলেন । বলভদ্র বাণিজ্য কাৰ্য্যে বিলক্ষণ দক্ষ ছিলেন । তিনি অল্প দিন মধ্যেই খেটক নগরে এক জন প্রধান ধনী হইয়া উঠিলেন । নগর মধ্যে তাহার বিলক্ষণ নাম সন্ত্রম হইয়া উঠিল । এক দিন বলভদ্র ক্রীত দাসীকে কোন অপরাধে বিস্তর তিরস্কার করিয়া দুর করিয়া দিলেন। ঐ দীসী জানিত, বলভদ্র নিধিপতি দত্তের কন্যা কনকবতীকে হরণ করিয়া আনিয়াছেন। এক্ষণে সে ক্রুদ্ধ হইয়। ঐ কথা নগর মধ্যে প্রচার করিয়া দিল । পৌরবৃদ্ধের শুনিয়া, সকলে একবাক্যে পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন, বলভদ্র অতিশয় দুস্ক্রিয়াসক্ত, উহাকে এদেশ হইতে দুীকৃত করাই উচিত। বলভদ্র, লোক মুখে পুরবৃদ্ধ দিগের এই পর মর্শের কথা শুনিয়া সাতিশয় ভীত