পাতা:দশকুমার.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ দশকুমার কিছুই নাই। অতএব এ রমণী বিরহিণী নয়, কোন বৃদ্ধের পত্নী হইবেক। চিত্রকর, কলহকণ্টকের অনুমান শক্তির ভূয়সী প্রশংসা করিয়া বলিল তুমি যথার্থ অনুমান করিয়াছ। অবন্তিদেশে উজ্জয়িনী নগরে অনন্তকীৰ্ত্তি নামে এক বণিক আছেন । এই চিত্রিত যুবতী তাহারি ভার্য । ইহার নাম নিতম্ববতী । আপনি ইহাব আশ্চর্য সেন্দর্য দর্শন করিয়া অবিকল ছবি আঁকিয়া আনিয়াছি । কলহকণ্টক নিতম্ববতী দর্শন।ভিলাষে অবিলম্বেই উজ্জয়িনী যাত্রা করিল। তথায় উপস্থিত হইয়া ভি ক্ষুকের বেশে অনন্তকীৰ্ত্তির ভবন প্রবেশ করিয়া স্বচক্ষে নিতম্ববতী দর্শন করিল আনন্তর তথা হইতে বহির্গত হইয়া তত্ৰত্য শাশানে গিয়া সন্ন্যাসীর বেশে বাস করিতে লাগিল । এবং নগরবাসীদিগের নিকট আবেদন করিয়া শ্মশান রক্ষার ভার গ্রহণ করিল । যে সকল শব ঐ শ্মশানে আনীত হইত, কপট সন্ন্যাসী তাহদের বস্ত্রাদি সংগ্ৰহ করিতে লাগিল । অনন্তর সেই সেই বস্ত্রদি বিক্রয় করিয়া, কিছু দিনের মধ্যে কিঞ্চিৎ অর্থ সঞ্চয় করিল। ঐ অর্থ দ্বার তত্ৰত্য এক ভিক্ষুকীকে ক্রমশঃ বশীভূত করিয়া, তাহার নিকট আপন অতিপ্রায় ব্যক্ত করিল। ভিক্ষুকী নিতম্ববতীর নিকট উপস্থিত হইয়। কলহকণ্টকের প্রার্থন জানাইল । পতিব্ৰত নিতম্ববতী সেই কথ। শুনিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল। ভিক্ষুকীকে যথোচিত তিরস্কার করিয়া দূর করিয়া দিল । ভিক্ষুকী এইরূপ অবমানিত ও তিরস্কৃত হইয়া কলহকণ্টকের নিকট প্রত্যাগত হইলে, সে, নিতম্ববতীর পাতিব্ৰত্য ভঙ্গ কর। নিতান্ত কঠিন বিবেচনা করিল। কিন্তু একবারে নিরাশ হইয়া অাপন অভিপ্রেত সাধনের চেষ্টা পরিত্যাগ করিল না । সে ভিক্ষুকীকে বলিল তুমি আর একবার নিতম্ববতীর নিকট যাও, গিয়া বল, “সুন্দরি । আমি তোমার সতীত্ব পরীক্ষার নিমিত্তই সেই কথা বলিয়া ছিলাম, বস্তুতঃ তাহা অামার মনোগত নহে । যে ব্যক্তি সংসারের অসারত দেখিয়া বিষয়ভোগ বাসনীয় জলাঞ্জলি দিয়া এইরূপ কঠোর সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছে সে যে, পতিব্ৰ