পাতা:দশকুমার.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্রুত চরিত । XV)0t পারি। আমাদের উপদেশের অহসরণ করিলে, অস্ত্ৰ শস্ত্র গ্রহণের আবশ্যকতা থাকে না, অথচ সমস্ত শক্ৰ সংহার হইতে পাবে। জামাদিগের উপদেশের অনুসরণ করাও নিতান্ত কষ্ট-সাধ্য নহে, দণ্ডনীতি শাস্ত্রের অধ্যয়ন করিলেই সমস্ত ফল লাভ হইতে পারে। দণ্ডনীতি শাস্ত্র চাণক্য প্রণীত । রাজা চন্দ্রগুপ্তের উপদেশের নিমিত্ত আচাৰ্য চাণক্য, ছয় সহস্ৰ শ্লোকে দণ্ডনীতি শাস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া যান। যে রাজা এই দণ্ডনীতি শাস্ত্রের অনুসারে চলেন, বিপক্ষগণ কখন তাহার অনিষ্ট সাধন করিতে সমর্থ হয় না । উত্তরোত্তর রাজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতে থাকে, । মহারাজ ! যাহারা ধূৰ্ত্তদিগের উপদেশ বাক্যে বিমোহিত হইয়া দণ্ডনীতি শাস্ত্রের আলোচনায় প্রবৃত্ত হন, তাহাদিগকে যাবজ্জীবন কেবল ক্লেশ ভোগ করিতে হয় । শাস্ত্রান্তরের অধ্যয়ন ব্যতিরেকে দণ্ডনীতি শাস্ত্রে প্রবেশ-শক্তির সম্ভাবনা নাই । সুতরাং কেবল শাস্ত্রাঙ্কুশীলনেই জীবন যাপন হয়, সংসারসুখের কিঞ্চিম্মাত্রও রসাস্বাদন হয় না। তাহার জন্মলাভ বিফল হয় । যাহা হউক, যদি দণ্ডনীতির অনুশীলনে প্রকৃষ্ট ফল লাভ হইত, তাহা হইলেও হানি ছিল না । কিন্তু তাহাও নহে। দণ্ডনীতি শাস্ত্রে পণ্ডিত হইলে, অন্যের কথা কি, আপন পুত্ৰ কলত্রের উপরেও অবিশ্বাস জন্মিতে থাকে । বিশ্বাস-নিবন্ধন অনিৰ্ব্বচনীয় সুখে এককালে বঞ্চিত হইতে হয় । স্বভাব ক্রমে ক্রমে ক্ষুদ্র হইয় উঠে। এক কপদকও বৃথা ব্যয় হইলে, অন্তঃকরণে অসুখ জন্মিতে থাকে। মহারাজ ! দণ্ডনীতি শাস্ত্রে রাজশদিগের যে সকল কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম নিদিষ্ট আছে তাহার অনুষ্ঠান করিতে হইলে, মনুষ্য-জন্ম লাভ কেবল বিড়ম্বন মাত্র হয় । সে সকল কর্তব্য কৰ্ম্ম এই—প্রতিদিন দিবসের প্রথম ও অষ্টম ভাগে, রাজ্যের আয় ব্যয় দর্শন করিতে হয়। দর্শন করিলে কি হইবে, ধূৰ্ত্ত কৰ্ম্মকরের কত অর্থ বৃথা ব্যয় করিয়া ফেলে, কত অর্থ আপনার অপহরণ করে, রাজা তাহার কিছুই জানিতে পারেন না । জানিবার যোও নাই। দ্বিতীয়ভাগে,