পাতা:দশকুমার.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిరిy দশ কুমার মহারাজ ! আপনকার নবীন বয়স্থ, পরম সুন্দর শরীর, অপরিসীম ঐশ্বৰ্য্য, দশ সহস্র হস্তী, তিন লক্ষ অশ্ব, অসংখ্য পদাতি । ভাণ্ডার সকল নানা রত্নে পরিপুর্ণ। সমস্ত জগতের লোক চিরকাল ভোগ করিলেও আপনকার ঐশ্বর্য নিঃশেষ হইবে না । অতএব আর অধিক ধনতৃষ্ণায় বৃথা কষ্ট পাইবার প্রয়োজন নাই । এক্ষণে আপনি প্রভুভক্ত বিশ্বস্ত ব্যক্তিদিগের উপর রাজকীয্যের ভারাপণ করিয়া, পরম সুন্দরী রমণীগণ লইয়া সুখে কাল ক্ষেপ করুন । এই সমস্ত বলিয়া বিহীরভদ্র সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত ছলে অনন্তবৰ্ম্মার পদতলে পতিত হইল । অন্তঃপুরনারীরাও আপনাদের মনের মত কথা শুনিয়া প্রীতিপ্রফুল্ল বদনে হাস্য করিয়া উঠিল । রাজা তখন সহাস্য বদনে বিহীরভদ্রকে বলিলেন ভদ্র ! গাত্রোথান কর । এই বলিয় তাহাকে উঠাইয়া হৃষ্টচিত্তে আলিঙ্গন করিলেন । অল্পবুদ্ধি অনন্তবৰ্ম্ম বিহারভদ্রের সেই অসদুপদেশের নিতান্ত বশীভুত হইয়া, রাজ-কাৰ্য পর্যালোচনায় শ্লথদর হইলেন। মন্ত্রিবর বসুরক্ষিত, অনন্তবৰ্ম্মাকে নীতিমার্গে প্রবর্তিত করিবার নিমিত্ত বিস্তর চেষ্টা পাইলেন, কিন্তু তাহার সমুদয় চেষ্টাই বিফল হইল । দুৰ্ম্মতি অনন্তবৰ্ম্ম তাহার বাক্যে কেবল মৌখিক সম্মতি প্রদর্শন করিয়া, অচিত্তজ্ঞ ভাবিয়া তহিকে অবজ্ঞা করিতে আরম্ভ করিল । মন্ত্রিবর ক্রমে ক্রমে তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন অহে ! আমার কি নিৰ্ব্ব দ্ধিতা ! কি মুখত ! এ ব্যক্তির যে কৰ্ম্মে বিন্দুমাত্র অনুরাগ নাই, আমি সেই কৰ্ম্মেই ইহাকে পুনঃপুনঃ প্রবৃত্তি প্রদান করিয়া কেবল উপহাসাম্পদ হইতেছি । এক্ষণে ইহার আর আমার প্রতি সেরূপ ভক্তি নাই। আমাকে আর তাদৃশ স্নেহ করে না । হাসিয়া কথা কহে না । আমার বিপদকালে দয়া করে না। সম্পদকালেও আছাদ করে না। উত্তম উত্তম বস্তু পুৰ্ব্বের ন্যায় আর আমার নিকট প্রেরণ করে না । আমার কুশল বাৰ্ত্ত জিজ্ঞাস করে না ।