পাতা:দশকুমার.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У 8 o দশকুমার অনলে অনিল যোগের ন্যায়, চন্দ্রপালিতের সম্পর্কে অনন্তবৰ্ম্মার কুপ্রবৃত্তি সাতিশয় উদ্দীপিত হইয়া উঠিল । এক দিন চন্দ্রপালিত অনন্তবৰ্ম্মাকে বলিতে লাগিল মহারাঞ্জ । অজ্ঞেরাই মৃগয়ার নিন্দ করিয়া থাকে। কিন্তু মৃগয়ার সমান উপকারক আর নাই। মৃগয়া করিতে গেলে অশ্রান্ত পরিশ্রম করিতে হয়। তাহাতে শরীর বিলক্ষণ সবল ও শক্ত হয় । অগ্নি বৃদ্ধি হওয়াতে শরীরে কোন রোগ সঞ্চার হইতে পায় না। ক্ষুৎ পিপাসাদি ক্লেশ সহনের শক্তি জন্মে । বন্য জন্তু দিগের ক্রোধ,দি কালে কিরূপ ভাব ভঙ্গী হয়, সমুদয় জানিতে পারা যায়। ব্যাঘ্ৰাদি শ্বাপদ গণ বিনষ্ট হইলে পথিক লোকের শঙ্ক নিবারণ হয় । কোথায় কোন পৰ্ব্বত, কোথায় কোন বন, এসমস্ত অবগত হইভে পারা যায়। অনবরত মৃগয়ায় ব্যাপৃত থাকিলে উৎসাহ শক্তি সাতিশয় সন্ধুক্ষিত হইয় উঠে। মহারাজ ! মুখেরা না বুঝিয়াই দুতিক্ৰীড়াকে বাসন মধ্যে পরিগণিত করিয়াছে। কিন্তু, দ্যুতক্রীড়ায় স্বভাবের সাতিপয় উৎকর্ষ জন্মে। ক্রীড়া কালে অকাতরে ধন বিসর্জন করতে অন্তঃকরণের অত্যন্ত ঔদার্য হয় । জয় পরাজয়ের স্থিরতা না থাকাতে হর্ষ বিষাদের বশীভূত হইতে হয় না। দৃতিক্ৰীড়ায় কূট কৰ্ম্মাদির পরিচয় হেতুক বুদ্ধি-নৈপুণ্য জন্মে। অনবরত এক বিষয়েই মনোনিবেশ বশতঃ চিত্তের একাগ্রত হয়। অতএব, যে বিষয়ে এত গুণ, ভীহা কিরূপে ব্যসন মধ্যে পরিগণিত হইতে পারে । ছশচরিত্র চন্দ্রপালিত মৃগয়া ও দ্যুতের এইরূপ প্রশংসা করিয়া স্ত্রী মদ্যাদি সেবনেরও অনেক গুণ বর্ণন করিল। অল্পবুদ্ধি অনন্তবর্ণ চন্দ্রপালিতের এই সমস্ত অসৎ উপদেশ গুরূপদেশের ন্যায় গ্রহণ করিল। এবং তদনুসারে মৃগয়াদি ব্যসনে ও স্ত্রী মদ্য সেবনে অত্যন্ত আসক্ত হইল। প্রজাগণ ভূপতির দৃষ্টান্ত দর্শনে প্রোৎসাহিত হইয়া উচ্ছ জ্বল ব্যবহার আরম্ভ করিল। দেশের তাবৎ লোকেই নানা দোষে দুষিত হওয়াতে, কাহারও আর লোক লজ্ঞা ও লোকনিন্দ ভয় রহিল না। চৌর্য ও দস্থা