পাতা:দশকুমার.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্রত চরিত । > 8NE গোপনে বলিলেন “ তাত নালীজজ ! তুমি ভাস্করবর্মাকে লইয়। এস্থান হইতে পলায়ন কর । এখানে থাকিলে ইহার জীবন রক্ষা হইবার সম্ভাবনা নাই । যেখানে থাক, আমাকে সংবাদ দিও। অামি যদি কখন এ দুশ্চরিত্রের হস্তে পরিত্রাণ পাই, তোমার নিকট উপস্থিত হইব ,, । দেবীর এই আজ্ঞাবাক্য শ্রবণ করিয়া অামি ভাস্করবর্শাকে লইয়া যমালয়বৎ অমিত্ৰবৰ্ম্মণব বাটী হইতে পলায়ন করিলাম। ক্রমে ক্রমে এই নিৰ্ব্বান্ধব বিন্ধrটবী প্রবেশ করিয়াছি। সুকুমার রাজকুমার পথশ্রান্তি প্রযুক্ত সাতিশয় পিপাসার্ভ হইলেন । আমি ইহার নিমিত্ত কূপে জল তুলিতে আসিয়া দৈবাৎ পতিত হইয়াছিলাম । আপনি অনুগ্রহ করিয়া উদ্ধার করিলেন । মহাশয় । এক্ষণে আপনি আমার প্রাণ দান করিলেন, এই নিরাশ্রয় রাজকুমারের আশ্রয় প্রদান করুন। এই বলিয়া সেই বৃদ্ধ আমার হস্তে ভাস্করবর্মাকে সমর্পণ করিল। দেৰ ! আমি বৃদ্ধের মুখে এই সকল বিবরণ শ্রবণ করিয়া, সবিশেষ পরিচয় লওয়াতে জানিতে পারিলাম,ভাস্করবর্ম। আমার পিতার পিতৃস্বত্ৰীয় ভগিনীর পুত্র। তখন আমি তাহাকে সস্নেহ আলিঙ্গন করিলাম। বৃদ্ধ আমার পরিচয় পাইয়। অতিশয় আহ্নাদিত হইল। অনন্তর আমি তাহাদিগকে অশ্বাস প্রদান করিয়া, কিরূপে ভাস্করবর্শার ক্ষুৎ পিপাসা শান্তি করিব চিন্তা করিতেছি, এমন সময় দেখিতে পাইলাম দুই মৃগ দৌড়িয়া আসিতেছে, তাহার পশ্চাৎ এক ব্যাধ ধনুৰ্ব্বাণ হস্তে ধাবমান হইয়াছে । আমি ব্যাধের হস্ত হইতে ধন্থৰ্ব্বাণ গ্রহণ করিয়া মৃগদ্বয়কে বধ করিলাম। একটা মৃগ আপনাদের নিমিত্ত রাখিলাম, আর একটা ব্যাধকে দিলাম। ব্যাধ আমার ধনুৰ্ব্বিদ্যায় পাণ্ডিত্য দর্শন করিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইল। আমি তাহাকে মাহিষ্মতী নগরীর সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলাম । সে বলিল “ অদ্য আমি তথায় ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম বিক্রয় করিতে গিয়াছিলাম, শুনিলাম চণ্ডবৰ্ম্মার কনিষ্ঠ ভ্রাতা প্রচণ্ডবৰ্ম্মার সহিত অমিত্ৰবৰ্ম্মার ভ্রাতৃকনা মঞ্চ বাদিনীর বিবাহ হইবেক, মহা সমারোহ হইতেছে, । এই বলিয়া ব্যাধ মৃগ লইয়।