পাতা:দশকুমার.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 দশকুমার প্রস্থান করিল। আমি দাবানলে মৃগমাংস দগ্ধ করিয়া বালকের বৃদ্ধের ও আপনার ক্ষুধা শান্তি করিলাম। অনন্তর বৃদ্ধকে বলিলাম নালীজজ্য ! অমিত্রবর্ম মনে করয়াছে মঞ্চ বাদিনীর প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করিলে রাজমহিষী বশীভূত হইবেন । সে এই অভিপ্রায়ে সমারোহ পূর্বক মঞ্চ বাদিনীর বিবাহ দিবার উদযোগ করিতেছে। যাহা হউক, তুমি কুমারকে আমার নিকট রাখিয়া একাকী ফিরিয়া যাও । আগ্রে দেবীর নিকট গোপনে তনয়ের শুভ সংবাদ ও আমার সমাচার নিবেদন কর । পরে সর্বসমক্ষে এই বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন আরম্ভ কর, যে, “ আমি কুমারকে লইয়া যেমন পলায়ন করিতেছিলাম, অরণ্য মধ্যে এক ব্যাঘ্র অসিয়া কুমারকে মুখে করিয়া লইয়া গেল, অমিত্ৰবৰ্ম্ম এই কথা শুনিয়া অবশ্যই মনে মনে সন্তুষ্ট হইবেক, কিন্তু বাহিরে কৃত্রিম শোক প্রকাশ করিবেক । এবং দেবীকে নানা প্রকার আশ্বাস প্রদান পূর্বক সান্থনা করিয়া, তাহাকে আপন বশবৰ্ত্তিনী করিবার মানসে তাহার মনোমত কৰ্ম্ম করিতে থাকিবেক । নালীজঙ্ঘ । আমি তোমাকে এই পদ্মনাভ বিষ দিতেছি, এবং বিষ নাশক ঔষধও দিতেছি। তুমি এই বিষ লইয়া দেবীর হস্তে সমর্পণ কর । তাহীকে বলিয়া দাও, তিনি এই বিষ জলে মিশাইয়া তাহাতে এক ছড়া মালা ফেলিয়া রাখেন । যখন পাপীয়া আমিত্ৰবৰ্ম্ম কামার্ভ হইয়া.র্তাহার নিকট অসদভিপ্রায় ব্যক্ত করিবেক তখন যেন তিনি এই বিষাক্ত মালা দ্বারা তাহার বক্ষঃস্থলে আঘাত করেন, এবং এই কথা বলেন “আরে নরাধম ! আমি যদি যথার্থ পতিব্রত হই, এই মাল্য ঘাতেই তোমার প্রাণ সংহার হইবেক, মাল্য প্রহার করিবামাত্র অমিত্ৰবৰ্ম্মার মৃত্যু হইবেক । অনন্তর তিনি যেন গোপনে এই বিষনাশক ঔষধের জলে মাল্য প্রক্ষালন করিয়া মঞ্চ বাদিনীর গলদেশে সংলগ্ন করিয়া দেন । নালীজজ ! এই সমস্ত সম্পন্ন হইলে তুমি আমার নিকট একবার অসিও । আমরা মাহিষ্মতীর শ্মশান দেশে সন্ন্যাসীর বেশে বাস করিব ।