পাতা:দশকুমার.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ দশকুমার সেই দিন রাজবtহন পুষ্পোস্তব সমভিব্যাহারে, বসন্তের সহিত কামদেবই যেন, আবন্তিসুন্দরী সন্দর্শনাভিলাষে সেই উপবন দেশে প্রবেশ করিলেন। অভিনব পল্লব মুকুলে সুশোভিত রসাল বৃক্ষে কোকিল মধুকরাদির মধুর ধ্বনি শুনিতে শুনিতে ক্রমশঃ সুন্দরী সমাজ সমীপে উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন, মালবরাজকন্য সাক্ষাৎ লক্ষ্মীর ন্যায় শোভা পাইতেছেন। ভাবিলেন, বুঝি মদনদেব প্রিয়তমা রতির প্রীতি সম্পাদনার্থ, জগতের যাবতীয় ললিত পদার্থ লইয়। একটা কাঞ্চনময়ী লীলাপুত্তলী নিৰ্মাণ করিয়া দিয়াছেন। ফলতঃ তাড়শ সুন্দরী কদাপি কাহারও নয়ন গোচর হয় নাই । অবন্তিসুন্দরী রাজবাহনকে দেখিয়া, বুঝি আমার আরাধনায় সদয় হইয়া অনঙ্গদেব অঙ্গ ধারণ পুৰ্ব্বক আগমন করিলেন এই ভাবিয়া, এক অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবান্তর প্রাপ্ত হইলেন । তাহার তৎকালীন আশ্চর্য সৌন্দৰ্য দর্শন করিয়া রাজবাহনের সাত্ত্বিক বিকার উপস্থিত হইল। নিতান্ত বিমোহিত হইয়া সতৃষ্ণ নয়নে বারম্বার তাহাকে দেখিতে লাগিলেন । অবন্তিসুন্দরী লজ্জায় তাহার সম্মুখে থাকিতে ন পারিয়া, সখীজনের ব্যবধানে দণ্ডায়মান হইলেন, এবং সুকুমার রাজকুমারের প্রতি প্রীতি বিকসিত নয়নে অকুক্ষণ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । পঞ্চবাণ তাহাদিগের তদৃশ ভাব দর্শনে সাতিশয় উৎসাহ পাইয়াই যেন, ভঁহাদের হৃদয়ে ঘন ঘন বীণ বর্ষণ করিতে লাগিলেন। অবন্তিসুন্দরী মনে মনে চিন্ত করিতে লাগিলেন আহা ! এমন অপরূপ রূপ ত কখনই দেখি নাই। নাজানি, কোন ভাগ্যবতী এই পুরুষ রত্বের মনোহারিণী হইয়াছে। ইনি কোথা হইতে, কি নিমিত্ত, এখানে আসিয়াছেন, কি রূপে জানিব। ইহঁাকে দেখিয়। আমার মন কেন এমন চঞ্চল হইতেছে । তাহীদের পরস্পরের এইরূপ অনুরূপ অনুরাগ দেখিয়া বালচন্দ্রিক, সৰ্ব্বজন সমক্ষে রাজনন্দনের যথার্থ পরিচয় দেওয়া অকুs চিত বিবেচনা করিয়া, নগরস্থ সাধারণের বিদিত পরিচয়ই প্রদান করিল। ভাতৃ দারিকে ! এই দ্বিজকুমার সর্বগুণাধার, যুদ্ধবিদ্যা