পাতা:দশকুমার.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ দশকুমার কুমারের এই কথা শুনিয়ারাজতনয়ার পূৰ্ব্বজন্মের বিবরণ স্মরণ হইল । তখন তিনি তাহাকে আপন প্রাণনাথ জানিতে পারিয়া সন্মিত বদনে বলিলেন সৌম্য : শাশ্ব রাজা রাজ্ঞী যজ্ঞবতীর প্রীতি সম্পাদনার্থই হংস বন্ধন করিয়াছিলেন। পণ্ডিত লোকের অন্থকূল কৰ্ম্মই করিয়া থাকেন। - কন্যা কুমার পুৰ্ব্ব জন্মের বিবরণ স্মরণ করিয়া পুৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকতর অনুরাগ সহকারে এই প্রকার আলাপ করিতেছেন, এমন সময়, মালবরাজমহিষী পরিজন গণের সহিত উদ্যানে আগমন করিলেন। বালচন্দ্রিক তাহাকে দূর হইতে দেখিয়া, রহস্য প্রকাশ ভয়ে, হস্তসঙ্কেতে রাজবাহন ও পুষ্পোস্তবকে নিকটস্থ বৃক্ষবাটিকার অন্তরালে লুকায়িত হইতে বলিল। মানসার মহিষী তথায় কিয়ৎকাল অবস্থান করিয়া গৃহ গমনে সত্বর হইলেন। অবন্তিস্থন্দরীও জননীর অন্থগামিনী হইলেন। গমনকালে কহিলেন “আহে রাজহংসকুল তিলক ! তুমি এই কেলী কাননে স্বেচ্ছাক্রমে বিহার বাসনায় আসিয়াছিলে, কিন্তু আমি তোমার কামনা পুর্ণ করিতে পারিলাম না, ইহাতে তুমি অন্যথা ভাবিও না । অবস্তিসুন্দরী রাজহংস চ্ছলে রাজা রাজহংসের নন্দন রাজবাহনকে এই রূপ সম্ভাষণ করিয়া সখী সহিত প্রস্থান করিলেন । রাজকুমারী রাজকুমারকে পরিত্যাগ করিয়া কথঞ্চিৎ গৃহে গমন করিলেন, কিন্তু তাহার অন্তঃকরণ কেবল রাজকুমার চিন্তায় মগ্ন হইল । বিরহ বেদনায় নিতান্ত কাতর হইয়া, কৃষ্ণপক্ষ-চন্দ্রকলার ন্যায় দিন দিন ক্ষীণ হইতে লাগিলেন । আহার বিহার পরিহার করিয়া কেবল রহস্যমন্দিরে সুশীতল পল্লব শয়নে কাল হরণ করিতে লাগিলেন । সখীগণ রাজকুমারীকে বিরহানলে নিতান্ত তাপিত দেখিয়া সাতিশয় দুঃখিত হইল । তাহার সন্তাপ শান্তির জন্য শীতল জল, চন্দন, মৃণাল, ও পদ্মপত্রের ব্যজন প্রভৃতি নানাবিধ বস্তু আহরণ করিল। কিন্তু ইহাতে তাপ নিবৃত্তি না হইয়া বরং, তপ্ত তৈলে জলসেকের ন্যায়, দ্বিগুণ বৰ্দ্ধিত হইয়। উঠিল। তখন তিনি বালচন্দ্রিকার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেম সখি ! কাম