পাতা:দশকুমার.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্বপীঠিকা। ২৫ দেবকে কুসুমায়ুধ ও পঞ্চবাণ বলিয়া থাকে, এ কথা মিথ্যা । কাম অামাকে বজসম অসংখ্য বাণে বিদ্ধ করিতেছেন। সখি ! এই ইশীতল পল্পৰ শয্যা অগ্নিশিখার ন্যায় সন্তাপ দিতেছে, সুশীতল চন্দনলেপ গরল লেপের ন্যায় জ্বালা ৰিধান করিতেছে । সখি ! তোমরা কেন বৃথা আয়াস পাইতেছ, সেই হৃদয়বল্লভ রাজকুমার ব্যতিরেকে আমার এ ব্যাধি উপশমের অন্য ঔষধ নাই । বালচন্দ্রিক প্রিয়সখী অবস্তিসুন্দরীর এইরূপ বিলাপ বচন প্ৰৰণ করিয়া নিতান্ত দুঃখিত হইল, মনে মনে বিৰেচনা করিল রাজনন্দিনীর ষে রূপ অবস্থা দেখিতেছি, রাজবাহনকে সত্ত্বর অনিয়ন না করিলে ইহঁীর প্রাণ রক্ষা ভার হইয়া উঠিৰেক । এই চিন্তা করিয়া বালচন্দ্রিক আর আর সহচরীকে রাজকুমারীর পরিচর্যায় নিযুক্ত করিয়া রাজৰাহনের ভবনে উপস্থিত হইল। দেখিল, তিনিও মদন বেদনায় অধিকতর কাতর হইয়াছেন। প্ৰিয়বন্ধু পুম্পোন্তবের সহিত সেই প্ৰাণেশ্বরীর কথা লইয়াই কাল ক্ষেপ করিতেছেন । রাজবাহন প্রিয়তমার প্রিয় সহচরী বালচন্দ্রিকাকে দেখিয়া পরম সন্তোষে সমাদর করিলেন এবং প্রিয়ভমার বিবরণ জিজ্ঞাসিলেন । বালচন্দ্রিক রাজবালিকার প্রেরিত পত্রিক প্রদান করিয়া বলিল দেব ! যে দিন ক্রীড়াকাননে রাজনন্দিনী তোমাকে দেখিয়াছেন তদবধি তাহার হৃদয় মদনানলে দগ্ধ হইতেছে, পল্পৰ শয়নেও সন্তাপ শান্তি হইতেছে না। মনোবেদন গোপন করিতে না পারিয়া, তোমার অনুগ্রহ লাভের আকাঙ্ক্ষায় এই পত্ৰ লিখিয়াছেন । রাজপুত্ৰ পত্র পাঠ করিলেন “হে সুভগ ! তোমার সেই অসীমান্য রূপলাবণ্য দেখিয়া অামার চিত্ত তোমার প্রতি একান্ত অস্থরক্ত হইয়াছে, তুমি কিঞ্চিৎ অনুগ্রহপ্রকাশ কর, । পত্র পাঠ করিয়া কহিলেন সখি ! তিনি আমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করিয়াছেন । কিন্তু যে দিন তিনি আমার নয়নপথবর্ভিনী হইয়াছেন, তদবধিই আমি তাহাকে মন প্রাণ সমৰ্পণ করিয়াছি। এক্ষণে আমিই র্তাহার অনুগ্রহের আকাঙ্কা করিতেছি। অতএব সখি ! তুমি পরম মিত্র পুষ্পো 8