পাতা:দশকুমার.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ণ চরিত। 8\) আমার নাম বসুপালিত । আমি অতিশয় কুরূপ, এই নিমিত্ত আমার নাম বিরূপক বলিয়ানগরে প্রসিদ্ধি হয়। এই নগরে সুন্দরক নামে পরম সুন্দর আর এক পুরুষ ছিলেন , কিন্তু তিনি আমার মত ধনবান ছিলেন না। বৈরোপজীবী নগরধূর্তের স্বার্থ সিদ্ধির বাসনা করিয়া, নানা কল্পিত অলীক বাক্যে আমাদের পরস্পরের বিদ্বেষভাব জন্মিয় দেয় । একদা এক উৎসব-সমাজে আমরা উভয়ে উপস্থিত ছিলাম। ঐ ধূর্তের প্রসঙ্গক্রমে এই কথা উত্থাপন করিল “সৌভাগ্যশালী পুরুষ কাহাকে বলা যায়, তাহ শুনিয়া সুন্দরক বলিলেন, যাহার সৌন্দর্য অাছে সেই সৌভাগ্যশালী পুরুষ । আমি বলিলাম যাহার ঐশ্বৰ্য আছে সেই ব্যক্তিই সৌভাগ্যশালী পুরুষ। আমাদের এই রূপ ৰিবাদ উপস্থিত দেখিয়৷ ধূৰ্ত্তগণ আপনারাই আসিয়া মধ্যস্থ হইল,এবং আমাদের বিবাদের এইরূপ মীমাংসা করিয়াদিল, যে, তোমরা রূপবান ও ধনবাৰু বলিয়া আপনাদিগকে সৌভাগ্যশালী পুরুষ বোধ করিভেছ। কিন্তু সৌভাগ্য ও পুরুষত্ত্বের মুল, রূপও নহে ধনও নহে। কোন পরম সুন্দরী বারনারী স্বেচ্ছাক্রমে যাহাকে কামনা করে, সেই পুরুষেরই সৌভাগ্য, সেই পুরুষেরই পুরুষত্ব । অতএব, সকল সুন্দরীর অগ্রগণ্য কামমঞ্জরী গণিকা আসিয়া তোমাদের মধ্যে যাহাকে অভিলাষ করিবেক, সেই ব্যক্তিই সৌভাগ্যশালী পুরুষ বলিয়। পরিগণিত হইবেক । ধূৰ্ত্তদিগের এই রূপ মীমাংসায় প্রতারিত ও বিমোহিত হইয়। আমরা দূত দ্বারা সেই বেশ্যাকে আনয়ন করিলাম। ভাগাক্রমে আমিই তাহার কামনার পাত্র হইলাম । সুন্দরক ও আমি,উভয়ে বসিয়াছিলাম, সেই বেশ্য আমারই নিকটে আসিয়া মুহুর্মুহুঃ আমার প্রতিই প্রণয়রসাভিষিক্ত কটাক্ষ নিক্ষেপ করিতে লাগিল, বোধ হইল যেন নীলপদ্মের মালা আমার অঙ্গে প্রক্ষেপ করিতেছে । সুন্দরক তাহা দেখিয়া লজ্জায় অধোবদন হইলেন । সৰ্ব্বসাধারণ সমক্ষে আমিই সুভগ পুরুষ হইয়া উঠিলাম। এবং অভিমানে মত্ত হইয়া সেই বেশ্যার হস্তে আপন ধন সম্পত্তি সমস্ত সমর্পণ