পাতা:দশকুমার.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ম চরিত । 8% প্রশস্ত ও প্রসারিত করিবার পূৰ্ব্বে, সন্ধির স্থঙ্ক ছিদ্ৰ দিয়া অগ্রে গৃহমধ্যের তাবৎ বৃত্তান্ত অবগত হইলাম। পশ্চাৎ, সন্ধির মুখ প্রশস্ত করিয়া অবলীলা ক্রমে আপন গৃহের ন্যায় গৃহমধ্যে প্রবেশ পুৰ্ব্বক বহুমুল্যের একছড়া হার লইয়া প্রস্থান করিলাম । চতুদিক ঘোরতর ঘনঘটায় আচ্ছন্ন, রাজপথ নিবিড়তর অন্ধকারে পরিপুর্ণ। অামি সেই রাজপথে গমন করিতেছি, হঠাৎ বিদ্যুৎপাতের ন্যায় কিয়দ রে একটা আলো দেখিতে পাইলাম । ঐ আলোক অামার দিকেই আসিতে লাগিল । ফলতঃ সেটা আলোক নহে, এক পরমসুন্দরী যুবতী স্ত্রী । ক্রমে ক্রমে আমার নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইল। আমি তাহণকে সদয় বাক্যে জিজ্ঞাসিলাম কে তুমি, কোথায় যাইতেছ ? সে অতিশয় তীত হইয় গদগদ স্বরে বলিল আর্য । কুবেরদত্ত নামে এক ধনবান্‌ বণিক এই নগরে বাস করেন। আমি তাহার কন্য। আমার নাম কুলপালিকা। জাতমাত্রেই পিতা আমাকে, এই নগরবাসী ধনমিত্র নামক এক ধনাঢ্য বণিক-কুমারকে বাদগান করিয়াছিলেন। জ্ঞানোদয় হইলে আমি আপন বাদানের বৃত্তান্ত অবগত হইলাম এবং ধনমিত্রকেই মন সমর্পণ করিলাম। ধনমিত্র, পিতা মাতার লোকান্তর গমনের পর সমস্ত পৈতৃক ধনের অধিকারী হইলেন। তিনি স্বভাবতঃ পরম ধাৰ্ম্মিক এবং অতিশয় বদান্য বদনাত হেতু দ্বীন দুঃখীদিগকে ক্রমশঃ সমস্ত সম্পত্তিই দান করিয়া, স্বল্পকাল মধ্যেই স্বয়ং দরিদ্র হইয়া পড়িলেন । তাহার ঔদার্য গুণে পরম পরিতুষ্ট হইয়া পুরবাসীগণ এক্ষণে র্তাহাকে উদারক বলিয়। থাকেন। সম্প্রতি আমার বিবাহযোগ্য কাল উপস্থিত দেখিয়া তিনি পিতার নিকট আমাকে প্রার্থনা করিয়াছিলেন । কিন্তু পিতা, নির্ধন বলিয় তাহীর সহিত আমার বিবাহ দিলেন না, অর্থপতি নামক এক অর্থশালী বণিকের সহিত আমার বিবাহ দিবেন অবধারণ করিয়াছেন । অদ্য রাত্রিশেষে সেই অমঙ্গল ঘটনা হইবেক । ইহা অগ্রে জানিতে পারিয়া আমি সেই প্রিয়তম ধনমিত্রের সঙ্কেতানুসারে আপন পুরজনকে বঞ্চন করিয়া এই নিশীথে বাট হইতে