পাতা:দশকুমার.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ঘ্য চরিত। ধনমিত্রকে কন্যাদান না করাতে এইরূপ দৈব ঘটনা উপস্থিত হইয়। থাকিবেক । অনন্তর কুবেরদত্তের ভবনে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম উথায় তুমুল কাণ্ড উপস্থিত হইয়াছে । কুবেরদত্ত অর্থশোকে সাতিশয় অভিভূত, অর্থপতি তাহাকে বিপুল অর্থ প্রদান করিবেক বলিয়া আশ্বাস দিতেছে, এবং এক মাস পরে কুলপালিকাকে বিবাহ করিবেক এই প্রস্তাব করিল। কুবেরদত্ত তাহাতে সম্মত হইলেন । তখন অমর একমাস আর কোন উৎপাত নাই বিবেচনা করিয়া নিশ্চিন্ত মনে স্বভবনে প্রত্যাগত হইলাম । অনন্তর আমি এক চৰ্ম্মভস্ত্রিক প্রস্তুত করিয়া অতিগোপনে ধনমিত্রকে কহিলন সখে : এই ভন্ত্রিক লইয়া তুমি অঙ্গরাজের নিকট উপস্থিত হও, এবং নির্জনে রাজাকে এই কথা বল, “মহারাজ ! আপনি অবগত আছেন, আমি আপনকার নগরবাসী বসুমিত্র বণিকের এক মাত্র পুত্র, আমার নাম ধনমিত্র । আমি স্বহস্তে সমস্ত সম্পত্তি সংপাত্রে দান করিয়া এক্ষণে দরিদ্র হইয়াছি, সকলে আমাকে দরিদ্র বলিয় অবজ্ঞা করিয়া থাকে। বিশেষতঃ, যে কুবেরদত্ত আর্মাকে আপন কন্যাকুলপালিক সম্প্রদান করিবেন প্রতিশ্ৰুত হইয়াছিলেন,তিনি এক্ষণে আমার দারিদ্র্য হেতু আমাকে কন্য। দানে পরাজু,খ হইয়া, অর্থপতি নামক বণিককে কন্যা দান করিবেন স্থির করিয়াছেন । আমি সেই অপমান সহকরিতে নপারিয়া প্রাণ পরিত্যাগের বাসনায় এক জীর্ণ অরণ্যে উপস্থিত হইলাম । এবং সেই জন শূন্য স্থানে গলায় ছুরি দিবার উপক্রম করিতেছি, এমন সময় অকস্মাৎ কোথা হইতে এক জটাধর পুরুষ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। আমাকে জিজ্ঞাসিলেন কে হে তুমি, কি নিমিত্ত এই সাহস কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছ। আমি কহিলাম মহাশয়! আমি এই চম্পানগরনিবাসী এক বণিকের পুত্ৰ, দারিদ্র্য নিমিত্ত সাহস কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছি। পুনৰ্ব্বার তিনি বলিলেন তুমি অতি মূঢ়, জানন অত্মহত্য অপেক্ষ গুরুতর পাপ নাই। তুমি ধনের নিমিক্ত প্রাণ পরিত্যাগে উদ্যত হইয়াছ, ইহাবুদ্ধিমানের কৰ্ম্ম নহে। ধন লাভের অনেক উপায় হইতে পারে, কিন্তু একৰাঁর কণ্ঠচ্ছেদ হইলে