পাতা:দশকুমার.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ দশকুমার পুনৰ্ব্বার প্রাণ লাভের কোন প্রত্যাশ থাকে না । অতএব তুমি এ দুৰ্ম্মতি পরিত্যাগ কর । আমি এক চৰ্ম্মভস্ত্রিক তোমাকে দিতেছি ইহার প্রসাদে তোমার অতুল ঐশ্বৰ্য্য লাভ হইবেক । আমি অনেক তপস্যা করিয়া এই ভস্ত্রা সিদ্ধ করিয়াছি । আমি যত কাল কামরূপে বাস করিয়াছিলাম, ইহারি প্রসাদে তথায় অনেক দরিদ্রের দারিদ্র্য দুঃখ দূর হইয়াছে। এক্ষণে চম্পানগর দর্শনার্থ আসিয়াছি। তোমার দুরবস্থা দেখিয়া অত্যন্ত দয়া জন্মিতেছে, তুমি এই ভস্ত্রীরত্বটা গ্রহণ কর । এই ভস্ত্রার বিষয়ে যে দৈব আদেশ আছে ভাহা তোমাকে বলিয়া দিতেছি । এই ভস্ত্রা বেশ্য ও বণিক জাতি ব্যতিরিক্ত অন্য কাহারও গৃহে রত্ন প্রসব করে না। এবং যিনি এই তন্ত্রা হইতে ধন লাভের আকাঙ্ক্ষা করেন, তাহার প্রতিও এই আদেশ আছে, তাহাকে পুৰ্ব্বেপার্জিত সমস্ত সম্পত্তি সৎপাত্রে দান করিতে হইবেক, আর যদি তিনি অন্যায় করিয়া কহারও ধন সম্পত্তি লইয়া থাকেন তাহা তাহীকে ফিরিয়া দিতে হইবেক । অনন্তর এই ভস্ত্রীকে কোন পবিত্র স্থানে রাখিয়া রাত্রিকালে পূজা করিলে, পরদিন প্রভাতে এই ভস্ত্র সুবর্ণে পরিপুর্ণ দৃষ্ট হইবেক । দয়ালু জটাধর এই অলৌকিক ভস্ত্র আমাকে অপর্ণ করিয়া অন্তহিত হইলেন। এক্ষণে এই ভস্ত্রীরত্ন মহারাজকে নিবেদন না করিয়া উপভোগ করা অনুচিত বিবেচনায়, আপনকার নিকট আসিয়াছি, আপনি যাহ আজ্ঞা করেন , । এই বলিয়া করপুটে দণ্ডায়মান হইও । রাজা অবশ্যই তোমাকে এই ভস্ত্ররত্ন উপভোগের অণজ্ঞা দিবেন। পুনৰ্ব্বার তুমি কহিও মহারাজ ! যাহাতে কোন ব্যক্তি ইহা অপহরণ করিতে না পারে, তদ্বিষয়ে আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি। রাজা তোমার এ প্রার্থনাও পরিপুরণ করিবেন। তদনন্তর আপন গৃহে আসিয়া পুৰ্ব্ব সম্পত্তি যৎকিঞ্চিৎ যাহা আছে তাহ সৰ্ব্ব সমক্ষে সৎপাত্রে দান করিয়া, এই ভস্ত্রা পুজা করা খাইবেক। প্রতিদিন আমরা যে ধন চুরি করিয়া আনিব তদ্বারা এই ভস্ত্র পরিপূর্ণ করিয়া রাখিব । তুমি প্রভাতে উঠিয়া সৰ্ব্বসমক্ষে ধনপুর্ণ ভস্ত্রা বাহির করিবে এবং ঐ সমস্ত ধন পুৰ্ব্ববৎ বিতরণ