পাতা:দশকুমার.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহায়বশ্ব চরিত । ©w© কৱিবে । এই রূপ করিলে, অর্থলুব্ধ কুবেরদত্ত অর্থপতিকে তৃণ জ্ঞান করিয়া তোমাকেই কন্যা দান করিবেন সন্দেহ নাই। এবং এই উপায়ে আমাদের চৌর্য্য কাৰ্যও প্রচ্ছন্ন থাকিবেক । ধনমিত্র আমার এই পরামর্শে হৃষ্ট হইয়া, আমার উপদেশমৃরূপ সমস্ত অমৃষ্ঠান করিলেন। ঐ দিবসেই বন্ধু বিমৰ্দ্দককে বলিলাম সখে ! তুমি অর্থপতির সহিত কোনরূপে প্রণয় কর এবং যাহাতে তোমার উপর তাহার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে এরূপ চেষ্টা কর, অণর ক্রমশঃ তাহার অন্তঃকরণে ধনমিত্রের উপর শক্রতা ও বিদ্বেষ বৃদ্ধি করিতে থাক । বিমদক আমার পরামর্শের অনুসরণে প্রবৃত্ত হইলেন । এদিকে ধনমিত্রের ভক্সারত্ন প্রাপ্তি এবং উত্তরোত্তর সম্পত্তি বৃদ্ধি দেখিয়া, লুব্ধ কুবের দত্ত অর্থপতিকে কন্যাদানসঙ্কল্প পরিত্যাগ করিয়া ধনমিত্রকেই কন্যা দান করিবেন স্থির করিলেন। কিন্তু অর্থপতি ভাহাতে সম্পূর্ণ প্রতিবন্ধকতাচরণ করিতে লাগিল । এক দিন শুনিলাম কামমঞ্জরীর কনিষ্ঠ ভগিনী রাগমঞ্জরীর নাচ হইবেক । এই সংবাদ শুনিয়া অনেক নাগরিক লোক যাইতে লাগিলেন। আমিও ধনমিত্রের সহিত মৃত্য দর্শনাভিলাষে সভায় উপস্থিত হইয়া উপবিষ্ট হইলাম। রাগমঞ্জরী রঙ্গভূমিতে মৃত্য আরম্ভ করিল। আমি তাহার রূপমাধুরী ও নৃত্যচাতুরী দর্শন করিয়া একবারে মোহিত ও হ রূ হইয়া রহিলাম। কুসুমাযুদ্ধ তাহার দৃষ্টি পরম্পরা রূপ নীলপদ্ম লইয়াই যেন আমাকে সাতিশয় বিদ্ধ করিতে লাগিলেন। রাগমঞ্জরীর মৃত্য দর্শন করিয়া সভাস্থ সমস্ত লোকই সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয়া প্রশংসা করিতে লাগিল । প্রশংসা শ্রবণে রাগমঞ্জরীর মুখচন্দ্রের বিজাতীয় শোভা জন্মিল। তাহার তৎকালের সৌন্দৰ্য দর্শন করিয়া অামি নিতান্ত অধৈৰ্য হইয়া উঠিলাম। মৃত্য শেষ হইলে সেই বারবিলাসিনী, কি বিলাস হেতুক, কি অভিলাষ হেতুক, কি অকস্মাৎই বা, জানিনা কি হেতুক, সে আমাকে অপাঙ্গ নয়নে বারম্বার নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। পরিশেষে ঈষৎ হাস্য করিয়া প্রস্থান করিল। আমি তখন গৃহে