পাতা:দশকুমার.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ম চরিত। ¢ፃ রাজা এই কথা শুনিয়া তৎক্ষণাৎ কামমঞ্জরী ও তাহারমাতাকে ভাকিয়া পঠাইলেন । তাহাতে আমি যেন অতিবিষগ্ন হইয়া কামমঞ্জরীকে বলিলাম বোধ করি, প্রকাশিত রূপে সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করাতে তোমার গৃহেই ভস্ত্ররত্ন আছে আশঙ্কা করিয়া, অঙ্গরাজ তোমাদিগকে আহবান করিয়াছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলে, যদি তোমরা আমা হইতে পাইয়াছ, বল, তাহা হইলে অবশ্যই আমার প্রাণদণ্ড হইবেক, আমার বিয়ে গে তোমাৰু ভগিনীও জীবন ধারণ করিতে পরিবেন না, এবং এই ভস্ত্রা রত্নও ধনমিত্রের হস্তগত হইবেক। এককালে নানা বিপদ উপস্থিত, উদ্ধারের উপায় কি ? কামমঞ্জরী ও তাহার মাতা আমার এই কাতরোক্তি শ্রবণে অত্যন্ত ভীত হইয়া রোদন করিতে লাগিল । কিয়ৎক্ষণ পরে অনেক ভাবিয়া চিন্তিয় বলিল এক্ষণে আর উপায় কি, আমাদিগের মুখত প্রযুক্তই এই গোপনীয় বিষয় প্রকাশিতপ্রায় হইয়াছে। রাজা আমাদিগকে ভস্ত্রীপহারকের নাম জিজ্ঞাসিলে, যদি আমরা তোমাকে নিদেশ করি, তাহা হইলে সকলেই এককালে ধনে প্রাণে মজিলাম । তবে এই এক উপায় আছে, অর্থপতি ভস্ত্রা রত্ন হরণ করিয়াছে বলিয়া কারারুদ্ধ হইয়াছে। সেই হতভাগ্য প্রতিদিন আমাদের গৃহে গতায়াত করিত, অঙ্গপুরীস্থ তাবৎ ব্যক্তিরই ইহা বিদিত আছে। অতএব তাঁহারই নাম নিদেশ করিয়া আপাততঃ প্রাণ রক্ষা করা পরামর্শ। এই স্থির করিয়া তাহার রাজভবনে গমন করিল । রাজা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কে তোমাদিগকে ধনমিত্রের ভক্সারত্ন দিয়াছে, ৰল । তাহারা বলিল মহারাজ ! বেশ্য জাতির এরূপ রীতি নহে, যে, ধনদাতার নামোল্লেখ করে। যাহার বেশ্যাসক্ত হয় তাহারা কিছু ন্যায়োপার্জিত অৰ্থ আণনিয়া বেশ্যাকে দেয় না। অতএব মহারাজ বিবেচনা করিয়া দেখুন, আমরা কিরূপে তাহার নাম নিৰ্দেশ করিত পারি। এইরূপ অনেক বাক্ছল করাতে, রাজা কুপিত হইয় তাহদের নাসা কৰ্ণ চ্ছেদনের আদেশ করিলেন। তখন তাহার। অতিশয় বিষন্ন ভাব প্রকাশ করিয়া অর্থপ