পাতা:দশকুমার.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহরবর্ম চরিত । ○> করিয়াছিল। আমি তাহার সম্পর্কেই তাহার প্রিয়তম রাগমঞ্চরীর গৃহে কখন কখন গমনাগমন করিতাম এবং বদুর প্রণয়িনী বলিয়। কখন কিঞ্চিৎ উপঢৌকনস্বরূপ বসন ভূষণও প্রদান করিতাম। সেই দুরাশয় আমার তাদৃশ ব্যবহার দর্শনে, আমি রাগমঞ্জরীতে অস্থরক্ত হইয়াছি, অমৃমান করিল। তাহাতে আমার প্রতি এবং রাগমঞ্জরীর প্রতি কুপিত হইয়া, আমার ভস্ত্রীরত্ব ও রাগমঞ্জরীর অলঙ্কারাদি সমৃদয় চুরি করিয়াছে। পুনৰ্ব্বার অন্যত্র চুরি করিতে যাইতেছিল, পথিমধ্যে আপনকার নাগরিক পুরুষের ধরিয়া, কারাগারে রাখিয়াছে। কিন্তু রাগমঞ্জরীর এক পরিচারিক অনেক অহুনয় বিনয় করিয়া তাহার নিকট অলঙ্কারগুলির সন্ধান লইয় গিয়াছে, বোধ করি পাইয়া থাকিবেক । মহারাজ ! অনুগ্রহ করিয়৷ যদি সেই দুরাত্মার নিকট হইতে আমার ভস্ত্রীরত্নটা দেওয়াইয়। দেন, তাহ হইলে, কৃতাৰ্থ হই । রাজাকে এইরূপ নিবেদন করিলে, তিনি অবশ্যই তোমার বন্ধুর প্রাণদণ্ড না করিয়া, ভয় প্রদর্শনাদি অন্যান্য উপায় দ্বারা ভস্ত্রীরত্ন দেওয়াইবার চেষ্টা করিবেন। তাহ হইলেই ইষ্টসিদ্ধি হয়.। ধনমিত্র আমার নিকট তোমার এই বিপদ শুনিয়া তোমার আদেশানুরূপ সমস্ত অনুষ্ঠান করিয়াছেন। তাহাতে রাজা কান্তকের প্রতি, তোমার নিকট হইতে ভস্ত্রণরত্ন আদায় করিবার অনুমতি দিয়াছেন । এই সংবাদ কহিয়া শৃগালিকা পুনৰ্ব্বার আমাকে বলিল, সৌম্য! আমি তোমার আজ্ঞানুসারে রাগমঞ্জরীর নিকট অর্থ লইয়াতদ্বারা রাজকন্যা অম্বালিকার পরিচারিণী মাঙ্গলিকাকে বশীভূত করিলাম । মাঙ্গলিক দ্বারা রাগমঞ্জরীর সহিত রাজকন্যার আলাপ পরিচয় হইল, এবং ক্রমশঃ উভয়ের প্রণয় বুদ্ধি হইতে লাগিল । আমি প্রতিদিন রাগমঞ্চরীর প্রেরিত নানাবিধ বসন ভূষণ উপহার লইয়া, রাজকন্যার নিকট গমনাগমন করিতে লাগিলাম । রাজকন্য। আমাকে ক্রমে ক্রমে অতিশয় ভাল বাসিতে লাগিলেন। একদিন তিনি ছাতের উপর দাড়াইয়া আছেন এমন সময় আমি তথায় উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম, অনতিদূরে কান্তক কোন