৬২ দশকুমার কৰ্ম্মান্তরে অসিয়া, রাজকন্যার রূপ মধুরী দর্শনে মুগ্ধ হইয়। এক দৃষ্টে তাহার দিকেই চাহিয়া রহিয়াছে। রাজকন্যাও, সেই দিকে কতগুলি কপোতের ক্রীড়া দেখিতেছিলেন, কিন্তু কান্তককে দেখিতে পান নাই । আমি অবসর বুঝিয়া একটী রহস্যের কথা কহিলাম । ত{হ শুনিয় রাজকন্যা মন্দ মন্দ হাস্য করিতে লাগিলেন । ঐ সময় আমি কান্তকের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া এরূপ নয়নভঙ্গী করিলাম, যে, তাহাতে কান্তক মনে করিল রাজকন্য তাহার প্রতিই আসক্ত-চিত্ত হইয়। হাস্য করিলেন । মনে মনে এই রূপ বিবেচনা করিয়া অল্পবুদ্ধি কান্তক নিতান্ত অধীর হইয়া উঠিল । আপনাকে ধন্য জ্ঞান করিয়া তথা হইতে প্রস্থান করিল। সেইদিন সয়ংকালে রাজকন্যা এক পেটিকার মধ্যে বসন-যুগল তাম্বল বীটিক ও অনুলেপন-সামগ্রী রাখিয় আপন অঙ্গরীয়মুদ্রায় মুদ্রিত করিলেন । এবং, এই পেটিকা প্রিয়সর্থী রাগমঞ্জরীকে দাও বলিয়া আমার হস্তে অর্পণ করিলেন। আমি সেই পেটিক লইয়া কান্তকের গৃহে উপস্থিত হইলাম ! অকূল সমুদ্রে মগ্ন ব্যক্তি নৌকা প্রাপ্ত হইলে যেমন হয়, তেমনি সে আমাকে পাইয়া আহলদিত হইল । রাজকন্যা এই সকল সামগ্ৰী তোমাকে উপহার দিয়াছেন এই বলিয়া, আমি সেই পেটিকাটা কান্তকের হস্তে অর্পণ করিলাম । আরো বলিলাম, তোমার নিমিত্ত রাজকন্যা নিতান্ত কাতর হইয়াছেন, কামদেব তাঁহাকে নিরন্তর শর প্রহারে জর্জরিত করিতেছেন । এই প্রকার ও আর আর প্রকার বচনেপন্যাস দ্বারা অল্পবুদ্ধি কান্তককে অল্প দিন মধ্যেই একবারে উন্মত্ত করিয়া তুলিলাম। এক দিন নির্জনে তাহাকে কহিলাম অৰ্য্য ! আমার প্রতিবেশী সামুদ্রিক শাস্ত্রবেত্ত এক দৈবজ্ঞ বলিয়াছিলেন “ সামুদ্রিক শাস্ত্রে যে সমস্ত রাজ-লক্ষণ নিদিষ্ট আছে, কান্তকের আকারে তং সমুদয় লক্ষিত হইতেছে । বোধহয় এই চম্পানগরীর আধিপত্য কান্তকের হস্তগত হইবেক ... । এক্ষণে সে কথা আমার