পাতা:দশকুমার.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ম চরিত। Jt প্রশ্বাস বশতঃ, উন্নত বক্ষঃস্থল ঈষৎ কম্পমান হইতেছে। মুখপদ্মে অল্প অল্প ঘৰ্ম্মবিন্দু হইয়া মকরন্দ-শোভা বিধান করিতেছে, সুকোমল শুভ্র শষ্যাতলে রাজকন্যার শরীর অৰ্দ্ধনিমগ্ন হওয়াতে, বোধ হইতে লাগিল, যেন, শরৎকালীন মেঘ মধ্যে স্থির সৌদামিনী শোভা পাইতেছে । আমি সেই আশ্চর্য সৌন্দর্য দর্শনে মোহিত প্রায় হইলাম । মনে করিয়াছিলাম রাজকন্যার গৃহ হইতে কোন অমূল্য রত্ন হরণ করিয়া আনিব । কিন্তু আমি কি হরণ করিব, তিনিই আমার মন হরণ করিয়া লইলেন। তখন কি করি কিছুই অবধারণ করিতে না পারিয়া, ক্ষণকাল স্তব্ধ হইয়া রহিলাম। মনে মনে তর্ক করিতে লাগিলাম, যদি এই মনোহারিণীকে নাপাই, পঞ্চৰাণ আমার প্রাণ বিনাশ করিবেন । যদি হঠাৎ অঙ্গ স্পর্শ করি, এই বালা এখনিই আৰ্ত্ত রব করিয়া উঠিবেক, তাহা হইলে মনোরথ সিদ্ধি হওয়া দুরে থাকুক, প্রাণ বিনাশের সম্ভাবন । আমি এই রূপ চিন্তা করিতেছি, হঠাৎ দেখিতে পাইলাম, এক পার্শ্বে একখানি চিত্র-ফলক এবং চিত্ৰকৰ্ম্ম-সাধন বর্ণভাণ্ড ও কতগুলি তুলিক রহিয়াছে। আমি সেই ফলক লইয়া সেই খানে বসিয়াই, এইরূপ একটা ছবি আঁকিলাম, যে, রাজকন্যা শয়ন করিয়া রহিয়াছেন, আমি তাহার চরণ প্রান্তে কৃতাঞ্জলি দণ্ডায়মান রহিয়াছি। পশ্চাৎ, আপন অঙ্গুরীয়কের সহিত রাজকন্যার অঙ্গুরীয়ক পরিবর্ত করিয়া নির্গত হইলাম, এবং সুরুঙ্গ দ্বারা একবারে কারাগারে অগসিয়া উঠিলাম । ংহঘোষ নামে এক প্রধান নাগরিক পুরুষ কোন অপরাধে ঐ কারাগারে বহুকালাবধি বদ্ধ ছিলেন । তাহার সহিত অামার অতিশয় মিত্রত। জন্মিয়ছিল । এক্ষণে তাহণকে বলিলাম মিত্ৰ ? অণমি কান্তককে বিনাশ করিয়াছি, তুমি এই কথা রাজগোচর করিয়া যদি কোন রূপে মুক্ত হইতে পার, চেষ্ট কর । আমি সিংহঘোষকে এই পরামর্শ দিয়া শৃগালিকার সহিত সেই রাত্রেই করা হইতে পলায়ন করিলাম । রাজপথে উপস্থিত হইয়াই হঠাৎ কতগুল রক্ষিক পুরুষের সমক্ষে পতিত হইলাম । তখন মনে কবিলাম, আমি