পাতা:দশকুমার.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

®)«V) দশকুমার এক্ষণে অতিবেগে দৌড়িয়া অক্লেশেই পলাইতে পারি, কিন্তু তাহ। হইলে শুগালিকা বিপদে পতিত হইবেক । এইরূপ চিন্তা করিয়া দ্র তপদে রক্ষিক বর্গের নিকট উপস্থিত হইলাম এবং উন্মত্তের ন্যায় অঙ্গভঙ্গী করিয়া বলিলাম, যদি আমি চোর হই, অামাকেই বন্ধন কর, এই বৃদ্ধাকে বদ্ধ করিবার আবশ্যক নাই । চতুর শৃগালিকা অামার এই বচন শ্রবণে ও আকার প্রকার দর্শনে আমার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়| সজল নয়নে রক্ষিকগণকে বলিল, আমার এই সন্তানটী বায়ুগ্ৰস্ত হওয়াতে আমি ইহাকে বন্ধন পূৰ্ব্বক বহু দিন চিকিৎসা করিয়া আরাম করিয়াছিলাম। কলা ইহাকে প্রকৃতিস্ত বোধ করিয়া মুক্ত করিয়া দিয়াছি। অদ্য অৰ্দ্ধরাত্রে পুনৰ্ব্বার উন্মত্ত হইয়া নানা অসমৃদ্ধ বাক্য কহিতে কহিতে পলায়ন করিতেছে । আমি স্ত্রীলোক, কি করি, ইহার সঙ্গে সঙ্গেই যাইতেছি । যদি তোমরা অনুগ্রহ করিয়৷ ইহাকে ধরিয়া দাও পরম উপকৃত হই। এই বলিয়। শৃগালিকা যখন ক্ৰন্দন করিতে লাগিল, তখন আমি বলিলাম বৃদ্ধে | পবন দেবকে কে বদ্ধ করিতে পারে, কাক কখন কুকুরের নিগ্ৰহ করিতে পারে না । এই বলিয়। দৌড়িলাম। রক্ষিকের শৃগালিকাকে বলিল বৃদ্ধে ! তুমিই উন্মত্ত, যেহেতু উন্মত্তকে মুক্ত করিয়া দিয়াছ, কে তোমার পাগলকে এখন ধরিয়া দিবেক,এই বলিয়া তিরস্কার করিতে লাগিল ৷ শৃগালিকাও ক্ৰন্দন করিতে করিতে আমার পশ্চাৎপশ্চাৎ দেড়িয়া আসিতে লাগিল। আমি রাগমঞ্জরীর গৃহে উপস্থিত হইয়া বিরহকাতর। প্রিয়তমাকে ন নাবিধ আtশ্বাস প্রদান করিয়া, অবশিষ্ট রাত্রি সুখে যাপন করিলাম। প্রভাতে ধনমিত্রের সহিত একত্রিত হইলাম । অনন্তর, মরীচি মহর্ষি পুনৰ্ব্বার পূৰ্ব্ব প্রভাব প্রাপ্ত হইয়াছেন শুনিয়া, আমি তাহার নিকট উপস্থিত হইলাম । যেরূপে তোমার সহিত সাক্ষাৎ হইবে তিনি তাহ বলিয়া দিলেন । এদিকে সিংহঘোষ কান্তকের মৃত্যু সমাচার রাজগোচর করিয়া বন্ধন হইতে মুক্তি পাইলেন । রাজ তাহাকে উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া কান্তকের পদেই নিযুক্ত করিলেন । সিংহঘোযের সহিত আমার বন্ধুত্ব ছিল,