পাতা:দশকুমার.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপহারবার্ম চরিত। Ꮔ© স্কামনা পুর্ণ হইল না। আমার কন্যাকাল উপস্থিত হইলে, বিকটবৰ্ম্ম পাণিগ্রহণার্থী হইয়া পিতার নিকট প্রার্থনা করে । পিত বুঝিতে ন পারিয়া তাহার সহিত আমার বিবাহ দিয়াছেন। কিন্তু বিকটবৰ্ম্মার দোষের কথা কি কহিব, সে অতিশয় নিষ্ঠর, অধাৰ্ম্মিক, মিথ্যণবাদী। তাহার কি বিদ্যা,কি বুদ্ধি, কি শৌর্যবীৰ্য্য, কি সৌন্দর্য, কিছুই নাই । তাহার প্রতি আমার কোন কালেই অনুরাগ ছিলনা। এক্ষণে আবার পুষ্করিকার মুখে শুনিলাম, আমাকে অবজ্ঞা করিয়া আমার সপত্নী রময়ন্তিকার প্রতি আকুরক্ত হইয়াছে । মাতঃ ! অণর আমার তাহার মুখাবলোকন করিবার ইচ্ছা নাই। অদ্যই তুমি উপবন মধ্যে মাধবীলতাভবনে সেই পুরুষরত্বের সহিত আমার মিলন করিয়া দাও । তাহার কথা শুনিয়া অবধি, আমার মন নিতান্ত চঞ্চল হইয়াছে । এই বলিয়া কল্পসুন্দরী সাতিশয় ব্যগ্রতা ও বিনয় করিতে লাগিল । বৎস ! তাহার নিকট আনি, তোমাকে লইয়। যাইব প্রতিশ্রুত হইয়া আসিয়াছি। এক্ষণে তুমি যেমন বিবেচনা কর । কল্পসুন্দরীর এইরূপ সঙ্কল্প শুনিয়| আমি অত্যন্ত আহলাদিত হইলাম। অনন্তর ধাত্রীর নিকট অন্তঃপুরের সমুদয় স্থান ও উপবনের তাবৎ প্রদেশের বিবরণ অবগত হইলাম । কিন্তু পরস্ত্রীসংসর্গে পাপের আশঙ্কা করিয়া সে রাত্রি গমনে বিরত হইলাম । শয্যায় শয়ন করিয়া চিন্তা করিতে লাগিলাম “এক্ষণে আমার অভিপ্রায় সিদ্ধপ্রায় হইয়াছে, কেবল অধৰ্ম্মভয়ে আমার চিত্ত দোলাযুমান হইতেছে। কিন্তু কি করি, এই উপায় অবলম্বন না করিলে পিতা মাতার উদ্ধারের আর কোন উপায় নাই । বিকটবৰ্ম্ম যেরূপ দুরাত্মা, তাহার অনিষ্ট সাধন করা কোন ক্রমেই নীতিশাস্ত্র-বিরুদ্ধ বোধ হইতেছে না। যাহা হউক, কেবল পিতা মাতার উদ্ধারের নিমিত্তই এই সাধু-ৰিগৰ্হিত কৰ্ম্মে আমাকে প্রবৃত্ত হইতে হইতেছে। কিন্তু দেব রাজবাহন ও অন্যান্য বান্ধবগণ এই বৃত্তান্ত শুনিয়া কি মনে করিবেন,,। এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে নিদ্রাগত হইলাম । নিদ্রিত হইয়াই স্বপ্নে দেখিলাম, ভগবান ভূতনাথ আসিয়া