পাতা:দশদিন - জলধর সেন.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশদিক্রম এগুলিকে মৃত্তিকান্তাপ না বলিয়া শৈলমালা বলিলেই ঠিক কথা বলা হয়। দেখিতে-দেখিতে আমাদের মোটর এই শৈলশ্রেণীর নিকটস্থ হইল। সঙ্গীরা বলিলেন, মোটর আর অগ্রসর হইতে পরিবে: না ; আমাদিগকে এই স্থান হইতে পদব্রজে মহারাজাধিরাজের আশ্রমে উপস্থিত হইতে হইবে । মোটর ত্যাগ করিয়া, তখন আমরা পাহাড়ের পার্শ্ব দিয়া যে অপ্রশস্ত নূতন পথ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সেই আঁকাবঁকা পথে চলিতে লাগিলাম ; কিঞ্চিৎ চড়াই উৎরাই ও ভাঙ্গিতে হইল। তাহার পরেই দেখিলাম, অদূরে একটি টিলার উপরিভাগে মন্দিরের মত একটা প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত অতিক্ষুদ্র গোলাকার গৃহ ; তাহার ছাদের উপরে চারিপাশ্বে কয়েকটী ক্ষুদ্র স্তম্ভ ; তাহার উপরে একটা প্ৰস্তরের আচ্ছাদন। সেই আচ্ছাদনের নিয়ে ঠিক ছাদের মধ্যভাগে একখানি প্রস্তরের আসনের উপর গরদের বস্ত্ৰ পরিধান করিয়া মহারাজ বসিয়া আছেন। তঁহার সম্মুখে একজন গৈরিক-পরিহিত বৃদ্ধ সন্ন্যাসী উপবিষ্ট এবং পায়ে রাখাল দাদা রহিয়াছেন। আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তর-সোপান অতিক্ৰম করিয়া সেই মন্দিরের নিকট উপস্থিত হইলে মহারাজ আমাকে আহবান করিলেন। আমি উপরে উঠিয়া তাহার পাশ্বেই বসিলাম । তিনি সন্ন্যাসীর সহিত আমার পরিচয় করাইয়া দিলেন। আমি প্ৰণাম করিলে সন্ন্যাসী সহাস্তবদনে আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । তাহার পর মহারাজ সন্ন্যাসীর সহিত ধৰ্ম্মালাপ করিতে লাগিলেন । (T