পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাক্ষিণাত্য [ তৃতীয় অঙ্ক । হ’তে বাঁচিয়েছেন, গঙ্গু ব্ৰাহ্মণও তেমনি মার্জন ক’রে জন্ম জন্ম অনুতাপ হ’তে তুলেছেন। কে বড় ? কে প্রীতির ? কার ছায়া কুশলাময় ? [ ] উমেদ। পুত্র! পুত্র! অনেকটা যেন দেখতে পাচ্ছি। আমাকে ফিরোজ উপস্থিত হইলেন। ফিরোজ শ উজীর সাহেব ! এখনও দাড়িয়ে আছেন যে ? দিল্লীর সমস্ত শক্তি সজ্জিত-শ্রেণীবদ্ধ-গমনোন্মুখ । সম্রাট সকলের সমক্ষে স্বহস্তে আপনাকে অসি-চৰ্ম্ম-শিরস্ত্ৰাণ দিয়ে সম্মানিত করুবার জন্য ব্যস্ত, আপনি এখনও কবৃছেন কি ? চলুন । উমেদ । [স্বাগত ] আবার অন্ধকার-আবার বধির করূলে—আবাব সই নেশা । ফিরোজ। এ কি ! কথা ক’চ্ছেন না যে ? এই, কি আপনাব ৰিদায় নিতে আসা ? বাধা পেয়েছেন বুঝি ? ছিঃ ! ভারত-সম্রাটের অনুগ্রহ, দিল্লী-মসনদের বিশ্বাস, মহম্মদ তোগলকের ভালবাসা, এর কাছে বাধা ? এখনও নীরব যে ! স্পষ্ট বলুন, এ সম্মান আপনি চান, না প্ৰত্যাখ্যান করেন ? আমার দাড়াবাব সময় নাই। উমেদ। কুমার! আপনিও দেখছি তা হ’লে সম্রাটের আদেশ পালনে বদ্ধপরিকর । ফিরোজ ! যদিও প্রকাশ তাই, কিন্তু এখন আর আমি ঠিক সম্রাটের আদেশে পরিচালিত নই। উজীর সাহেব ! আমি চলেছি, জীবনের উপেক্ষিত-মৰ্ম্মাহত-মৃত্যুর উপাসক, ঝঙ্কা-ক্ষুব্ধ দুৰ্জয় তরঙ্গের ন্যায় অনাথ-অবিরাম-অনন্তের আলিঙ্গনপ্ৰিয়াসী ; একটা নিমেষও এ জগতে দাড়াবার অধিকারী নই। ব’লে । ( २२ )