哆外sf配1] দক্ষিণাত্য তোলে, অল্প চেষ্টাতেই আমার চেতন হয়। কিন্তু বহু ব্যাপারেও সেই তৃতভাগিনীর চেতনা আর ফিরুলো না। আমি কপালে ঘা মায়লুম,- মানুষের যা পুজি। তারপর একটু সামৰ্থ্য পেয়ে শিশুর অন্বেষণে উঠলুম ; তখন প্রায় রাত্রি প্রভাত হ’য়ে এসেছে। কিন্তু আবেদীন, সেখানে গিয়ে আর সে শিশুকেও পেলুম না ; বিফল-মনোেবথে ঘৰে ফিকুলুম । দুঃখ ক’রো না পুত্র! যা যাবার-গেছে। আবেদীন। কিছু যায় নি মা, কিছু যায় নি! মা গেছে, আবাব আমি মা পেয়েছি আরও মহিমময়ী-আরও কৰ্ম্মকুশলা-অারও ধৰ্ম্মপ্রাণা -গৰ্ভধারিণী আমার সে মা হ’তেও । আমাৰ প্ৰাণে আব্ব কোন অভাব নাই মা ! আক্ষেপ একটু সেই অসঙ্গায়া বালিকার জন্য । আমি তো অঁ হ’তেও মা পেয়েছি ; সে যদি বেঁচে থাকে, অভাগিনী আজি মাতৃহারা ! মঞ্জলা । না আবেদীন ! সে যদি বেচে থাকে, সেও নিশ্চয় মা পেয়েছে। জগতে আরও নারী আছে তো ! স্থির জেনো পুল, সংসারে এই নারী-জাতিটা শুদ্ধ মা হওয়ার জন্যই ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার জন্মের আন কোন উদ্দেশ্য নাই। তবে কেউ গর্ভে ধ’রে মা, আর কেউ মৰ্ম্মে ধ’রে আপনি হ’তেই মা ! আবেদীন। তুমি আমার সেই মা! তুমি আমার সেই মৰ্ম্ম হ’তে প্রসব করা মহাশক্তিশালিনী মা ! চল মা, আজি মাতা-পুত্ৰে এক সঙ্গে ব'সে একটু আক্ষেপ করিগে-গর্ভে ধরা মায়ের ছেলে যারা, তাদের জন্য। এ মায়ের মুখ তারা দেখে নাই-এ মৰ্ম্ম-বীণা তাদের কানে বাজে নাই— এ বুকের শক্তি-সুধার একটা চুমুক ও তারা আস্বাদ করতে পায় নাই। মঞ্জুল । চল পুত্ৰ, কাজ এসেছে। সত্যই কঁাদবার পালা এইবার আমাদের মাতা-পুত্রের। [ উভয়ের প্রস্থান । -exter ( २२१ )
