পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাস্ক। ] क्लिeऊा সাহারা। গুরুতর। কাৰ্য্য তো তোমার চুলোর ছাই নাচ-গানের বিচার করা ? সাকিনী । দেখুন,-এটাকে আপনার যতটা অপকৰ্ম্ম মনে করেন, বাস্তবিক তা নয়। সঙ্গীত-বিদ্যা সকল হৃদয়ে আঘাত করে---চিরসন্তপ্তকেও জুড়িয়ে দেয়-সঙ্কীর্ণ প্রাণকে অবাধ উন্মুক্ত উদার ক’রে খোদাতালার তোরণদ্বারে টেনে নিয়ে যায়। এ বিদ্যার উ৯কর্ষ-সাধনে সাধারণকে উৎসাহিত করা, এর যোগ্যতানুসারে পুরস্কার, বেতন-বুদ্ধি বৃত্তি-বিধান, মনুষ্য-মাত্রেরই করণীয়। সাহারা। তা কর—তুমি যেমন বোঝা । কিন্তু সেটা তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না, দু’দণ্ড পরেও তো হ’তে পারে । উপস্থিত আগেকার কাজ আগে কি না ? সাকিনা। তাঁ-বাটে ! স্বামী যাচ্ছেন যুদ্ধে-আর সাক্ষাতের সুবিধা নাও ঘটতে পারে ; তবে কি না কৰ্ম্মমাত্রেই শৃঙ্খলার অধীন। এখন আমি যে কাৰ্য্যে নিযুক্ত, আমার বেশভূষা তদনুরূপ, শরীর মন সেই ভাবেই চালিত-তন্ময় ; এ সময় তার ওপর স্বামী-সাক্ষাৎ করতে হ’লে পৃষ্ঠারই অসম্মান,-তার অভ্যর্থনার অনেক ক্ৰটী ঘাঁটুতে পারে। সাহারা । সৰ্ব্বনাশ! স্বামীর অভ্যর্থনা করতে আবার সমাজ পালটাতে হয় না কি ? তার জন্য শরীর মনকে সাস্ত্ৰন ক’রে ফিরিয়ে আনতে হয় না! কি ? কই-- তা তো আমি জানি না। আমিও তো ছিলুম সম্রাটুনন্দিনী – তোমারই পিতামহ গিয়াসুদিন তোগলকের কন্যা,— আমারও তো আদরের অভাব ছিল না ! এ রকম অসংখ্য ঐতিক সুখ আমায় দিবারাত্র ঘিরে থাকতো, তার মাঝেও তো আমি দেখতে পেতুম-স্বামীর অভ্যর্থনায় একটা জিনিষের প্রয়োজন, সেটা নারীর প্ৰাণ ; আর তার জন্য সেও সর্বদাই প্ৰস্তুত । (1)