পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাক্ষিণাত্য [ চতুর্থ অঙ্ক { গজু। পাবি ? পাবি জাফর ? যা বললি, পাবুবি ? একটা দিন-- অন্ততঃ একটা মুহুর্তের জন্য ? জাফর। না পারি, এ মুখ আর আপনাকে দেখতে হবে না। পিতা ! জাফরের নাম-গন্ধও আর জগৎ খুঁজে পাবে না,--তার সেবক-ব্রিতের এইখানেই উদযাপন। আবার পিতা বলে ডাকবে, যদি আবার আসতে পারি। এই ক্রীতদাসের জন্ম নিয়ে ফিরে । গঙ্গু । [ চমকিত হইয়া ] ধীরে জাফর, ধীরে ! আমি অন্যায় উত্তেজিত হয়েছিলুম। বাবা! যাক আগ্রা অযোধ্যা পুড়ে চারখারো-হোক পাঞ্জাব লক্ষ্মীছাড়া-থাকুক মহম্মদ তোগলক রক্তপিপাসা নিয়ে যুগ-যুগান্তর বেঁচে ! থাকু আৰ্য্যাবৰ্ত্ত যেতে, তোর মরা হবে না ! জাফর। এ আবার কি পিতা ? পরের সর্বনাশ চোখের ওপর দেখে-এৰূপ অনুমতি তো আপনার মুখে। কখনও শুনি নাই । গঙ্গ। শুনিস্ নাই ব’লে কি শুনতেও নাই ? আজি শোন, তোর * श८ । । জাফর। যুদ্ধে গেলেই কি সবাই মরে ? গঙ্গ। আমার পা ছুয়ে শপথ করু, আপনার মাথা বাঁচিয়ে যুদ্ধ কিরুবি ? জাফর। সে আবার কি রকম যুদ্ধ পিতা ? গন্ধু। যে রকমই হোক, যতটা থাকে না থাকে। তোর মরা হবে না। তুই মরূলে আগ্রা অযোধ্যা বাঁচবে, এমন যদি কোন দৈববাণী করা থাকৃতো, তুই আমার এত আদরের-আমি নিজে হাতে তোর গলা টিপে মারতুম! তা যখন হবে না-শুধু মরাই সার, কি লাভ ওতে ? বীরত্ব দেখানো? ও বাহাদুরী। আমি পছন্দ করি না। তার চেয়ে তুই বীচ, আমন আগ্রা অযোধ্য আমি এই ভারতবর্ষটায় শত সহস্ৰ গ’ড়ে দেবো। ( sess )