পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাক্ষিণাত্য [ দ্বিতীয় অঙ্ক । সে নেশা আমার কেটে গেছে। তোমার রাজ্য ভোগ করুত্ব তোমার গববিনী কন্যা ! আমার রাজত্ব-আমার সর্বস্ব আমার পুত্র! এনে দাও ভাই ! হাতে ধরছি, আমি গাছের তলায় থাকবে। মহম্মদ । [ নীরব রহিলেন ] সাহারা। বোবা হয়ে গেলে যে ? কন্যার মুখের দিকে চােচ্ছ কি ? তোমায় আমায় কথা, তুমি ভাই-আমি ভগ্নী, ও কি বলবে তার ? সাকিনা । বলবার আছে বই কি! আপনার পুত্র, আমার স্বামীআম হ’তে আপনার কিছু বেশী নয়। সাহারা। অনেক বেশী ! তুমি তার কি বুঝবে সাকিনা ? তুমি তো কেবল স্বামী দেখেছি।--তাও চোখের দেখা ! পুত্র কি জিনিষ, এখনও আস্বাদ পেতে হয় নাই। আমি স্বামী নিয়েও সংসার করেছি, পুত্ৰ বুকে ক’রেও বিধবা-জীবন কাটাচ্ছি; আমি বলতে পারি কে কম, কে ষেশী ! অনেক বেশী সাকিনা! স্বামী হ’তে পুত্র অনেক বেশী ! স্বামী সাক্ষ্য রেখে ব্যবণ করা, পুত্র-রক্ত দিয়ে তৈরী করা, স্বামীর- মৃত্যুতে ওপর ওপর দাগ পড়ে, পুত্ৰশোক আঁতের ঘা। স্বামীকে নারী ভালবাসূতেও পারে, নাও পারে ; কিন্তু সন্তানকে না ভালবেসে উপায় নাই! তুমি চুপ रुद्ध । भश्न ! क्षुकांक (छ्छु ७ | সাকিনা । তা হবে না, আমার পিতার মস্তক অবনত হবে । সাহারা । হ’তেই হবে ; তা না হ’লে আমার পিতার নাম ডুব বে। মহাদদ। যাও ভগ্নি ! আমি ভেবে দেখি, যদি দুটো দিকই বজায় হয়। সাহারা । অসম্ভব! তা হয় না। মহম্মদ ! ফিরোজের মুক্তি আর বুক্কার শাস্তি, দুটাে একসঙ্গে-এ হ’তে পারে না। সুৰ্য্যে গ্ৰহণ আর চন্দ্রে পূর্ণতা একদিনে হবার নয়,-ভুলে যাও । শেষে দু-দিকই যাবে তোমার। মহম্মদ । তোমার কথা তো ফিরোজকে ফিরে পাওয়া নিয়ে ? \ నిy }