এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৪৪ ]
আস্ফালিলা আসি বীর, টঙ্কারিলা ধনু,
হুহুঙ্কারে দিক দশ আকুল করিলা;
স্তম্ভিত হইল ভয়ে জগত সংসার!
সদর্পে ধরিলা ধনু তবে হৈমবতী,
করিলা হুঙ্কার ধ্বনি; ছাড়িল অমনি,
পবন তাহার পথ, কাঁপিল সংসার!
শর জালে আচ্ছাদিয়া নিমেষে আকাশ,
মৃদু মৃদু হাসি তবে কহিলা;—"কোথাহে,
হে ধূম্রলোচন! রক্ষ, রক্ষ বীরবর,
মোর হাত হতে এবে নিজ সেনাকুলে,
ত্রিদিব বিজয়ী তুমি জগতের ত্রাস।
এস, এস অগ্রসরি, দেখসিয়ে আসি,
আছে কিনা আছে বল অবলার ভুজে।
কি আর ভাবিছ এবে?—ভাব পরকাল।”
বিস্মিত নয়নে চাহে তবে বীরবর
রুদ্রাণীর পানে;—দেখে, অঙ্গ ভারে আর
কাতরা নহেক বামা; যৌবনের তেজ,
বীর তেজ সহ যেন দ্বন্দ্বিতেছে মরি,
কমনীয় কলেবরে; শৈবালের দলে,
দ্বন্দ্বে যেন মদকল বারণ যুগল।
সভয় অন্তরে বীর কহে তবে মনে;—
"একি দেখি ভাব, এত বীর্য্য অবলার!