দক্ষতা দেখাইয়া আপনাদের কার্য্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করিতে পারিলে, মূল ফারমের লভ্য অংশ হইতে কমিশন বলিয়া বাৎসরিক একটী অংশও পাইয়া থাকেন। সে অংশ শুনিতে অতি সামান্য হইলেও, কার্য্যে কিন্তু সামান্য নহে। এমন কি, এক একজন কর্মচারী বৎসর বৎসর তাঁহার বেতনাদি বাদে পাঁচ ছয় সহস্র পর্যন্ত টাকা পাইয়া থাকেন। তদ্ব্যতীত আমাদিগের কার্য্যের আর একটী প্রধান সুবিধা আছে, যে সুবিধা কেবলমাত্র আমাদিগের ফারম ব্যতীত এ পর্যন্ত অপর কোন স্থানেই পরিলক্ষিত হয় নাই। যিনি যে স্থানেই চাকরী করুন না কেন, একমাস চাকরী পূর্ণ না হইলে সেই মাসের বেতন কেহই প্রাপ্ত হন না; কিন্তু আমাদিগের নিয়ম সেরূপ নহে। আমরা সকলেই অগ্রিম বেতন পাইয়া থাকি, অর্থাৎ যেমন মাস পড়িবে, অমনি আমরা সেই মাসের বেতন অগ্রিম প্রাপ্ত হইব। এরূপ অবস্থায় আপনি সবিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখুন যে, আপনি আমাদিগের সরকারে কার্য্য করিতে প্রস্তুত আছেন কি না? যদি আপনি আমাদিগের প্রস্তাবিত চাকরী গ্রহণ করিতে সম্মত হন, তাহা হইলে আপনি কল্য আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন। এখন আমি আপন স্থানে প্রস্থান করিতেছি।
এই বলিয়া তিনি প্রত্যাগমন করিতে উদ্যত হইলে, আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয়! আমি কল্য আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়া, কাহার অনুসন্ধান করিব? মহাশয়ের নাম ত আমি এ পর্যন্ত জানিতে পারি নাই।”
আগন্তুক। আমার নাম মাণিক চাঁদ। আপনি আমার নাম করিয়া অনুসন্ধান করিলেই আমাকে দেখিতে পাইবেন।